‘লেনদেন হচ্ছে ক্যাশলেস, স্মার্ট হচ্ছে বাংলাদেশ’ এই স্লোগানে নাটোরের সিংড়া উপজেলায় বসেছে কোরবানির পশুর হাট। গরু কেনাবেচার টাকা লেনদেন হচ্ছে দেশের অন্যতম সেরা মোবাইল আর্থিক সেবা নগদের মাধ্যমে।
নাটোরের সিংড়া উপজেলার ফেরিঘাট এলাকায় ক্যাশলেস এই হাটের উদ্যোক্তা ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। তার প্রচেষ্টায় করোনা মহামারির সময় থেকে সিংড়া নিয়মিতভাবে প্রতিবছর অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে ক্যাশলেস কোরবানির পশুর হাট।
এই হাটের একমাত্র ডিজিটাল পেমেন্ট বুথ থেকে ক্রেতা-বিক্রেতারা নগদের মাধ্যমে দেশের সর্বনিম্ন খরচে ক্যাশআউট সুবিধা উপভোগ করছেন। বিশেষ করে প্রতিবছরের পশুর হাটে পকেটমার, মলমটপার্টিসহ নানা ধরনের দৌরাত্ব থেকে রেহাই পাচ্ছেন ক্রেতা ও বিক্রেতারা। ডিজিটাল পেমেন্ট বুথ চালু হওয়ায় খুব সহজেই মুঠোফোন থেকে লেনদেনের সুযোগ তৈরি হয়েছে সিংড়াবাসীর জন্য। এ ছাড়াও দূরদুরান্ত থেকে ব্যবসায়ীরা পশু বিক্রি শেষে নিরাপদে বাড়ি ফিরে যেতে পারছেন নগদের মাধ্যমে ক্যাশলেস লেনদেন করে।
কোরবানির পশুর হাটের এমন উদ্যোগের বিষয়ে নগদের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক সিহাব উদ্দীন চৌধুরী বলেন, দেশে ক্যাশলেস লেনদেন উৎসাহিত করার ক্ষেত্রে প্রথম নাম নগদ। আমরা প্রতিবছর কোরবানির সময় সারা দেশের বিভিন্ন হাটে ক্রেতা-বিক্রেতাদের লেনদেন করার নিরাপদ ও সাশ্রয়ী মাধ্যম হিসেবে সেবা দিয়ে থাকি। এ ছাড়া অন্যান্য সেবা তো থাকেই।
কোরবানির পশুর হাটে আগত যাদের নগদ অ্যাকাউন্ট নেই, ডিজিটাল পেমেন্ট বুথে বসে মাত্র কয়েক মিনিটে নগদ অ্যাকাউন্ট খোলার সুবিধাও দিচ্ছে দেশের জনপ্রিয় মোবাইল আর্থিক সেবা প্রতিষ্ঠান নগদ।
করোনা মহামারির সময় এর বিস্তার রোধে উদ্যোগ নেন স্থানীয় সংসদ সদস্য প্রতিমন্ত্রী জনাব জুনাইদ আহমেদ পলক। মূলত তখনই সিংড়ায় শুরু হয় এই ক্যাশলেস কোরবানির পশুর হাট। তখন থেকেই নিয়মিতভাবে প্রতিবছর ঈদ-উল-আযহাকে কেন্দ্র করে ফেরিঘাট এলাকায় বসে এই হাট। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো থাকায় দূরদূরান্ত থেকে এই হাটে কোরবানির পশু কেনাবেচা করতে আসেন সাধারণ মানুষ। নিরাপদ ক্যাশলেস লেনদেনের সুযোগ থাকায় বেশ জনপ্রিয় এই হাটটি। এর আগে এমন সুবিধা কখনো পায়নি চলনবিলের বাসিন্দারা, নগদের মাধ্যমে এখন সেই সুবিধা উপভোগ করছে সিংড়ার মানুষেরা। ঢাকা-চট্টগ্রমসহ দেশের বড় শহরগুলোতে ক্যাশলেস লেনদেন করে কোরবানির পশু কেনার সুযোগ থাকলেও সিংড়া এলাকায় এই সুবিধা মিলেছে নগদ এবং ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের প্রচেষ্টার কারণে।
২০৪১ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে শতভাগ ক্যাশলেস বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে সরকার। এই বিশাল কর্মযজ্ঞে অন্যতম ভূমিকা রাখছেন ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। ক্যাশলেস বাংলাদেশ গড়ার এই যাত্রায় অন্যতম সহযোগীর ভূমিকায় দেশের জনপ্রিয় আর্থিক সেবা নগদ। সিংড়ার উপজেলার মতো দেশের প্রতিটি উপজেলাসহ প্রত্যন্ত অঞ্চলে ক্যাশলেস লেনদেনের সুবিধা পৌঁছে দিচ্ছে নগদ।
যার ফলে ক্যাশলেস লেনদেনসহ সামাজিক নিরাপত্তা ভাতা, উপবৃত্তি, প্রতিবন্ধী ভাতা, বয়ষ্ক ভাতা, প্রধানমন্ত্রী শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের উপবৃত্তিসহ ২৭টি মন্ত্রণালয়ের ভাতা দেশের জনগণের কাছে সফলভাবে নিরাপদে পৌঁছে দিচ্ছে নগদ।