দৈনিক শিক্ষাডটকম প্রতিবেদক : ‘স্মার্ট স্কাউটিং, স্মার্ট সিটিজেন’-এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে সারা দেশে স্কাউটস দিবস উদযাপন করা হয়েছে। এতে স্কাউট সদস্য, অভিভাবক ও শুভানুধ্যায়ীরা অংশগ্রহণ করেন।
সোমবার দিবসটি উদযাপনে কেন্দ্রীয়ভাবে নানা কর্মসূচি পালন করে স্কাউটস-এর সদর দপ্তর। এ ছাড়া বিভিন্ন অঞ্চল, জেলা, উপজেলা ও ইউনিটেও নানা কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
বাংলাদেশ স্কাউটস-এর সদর দপ্তর এ উপলক্ষে এদিন সোমবার সকালে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু করে। পরে বিভিন্ন প্রতিযোগিতা, আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ স্কাউটস-এর প্রধান জাতীয় কমিশনার ড. মো. মোজাম্মেল হক খান।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ স্কাউটস-এর জাতীয় কমিশনার (স্পেশাল ইভেন্টস) ও মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরী অথরিটির এক্সিকিউটিভ ভাইস চেয়ারম্যান মো. ফসিউল্লাহ।
সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক (অ.দা.) উনু চিংসহ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ স্কাউটস-এর সদর দপ্তরের সব সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ।
উল্লেখ্য, স্কাউটিং বিশ্বব্যাপী একটি স্বেচ্ছাসেবী ও শিক্ষামূলক যুব আন্দোলন। শিশু, কিশোর ও যুবকদের শারীরিক, মানসিক, আধ্যাত্মিক, সামাজিক ও বুদ্ধিভিত্তিক উন্নয়ন সাধনের মাধ্যমে আত্মনির্ভরশীল, সৎ, চরিত্রবান, দেশপ্রেমিক ও সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলাই স্কাউট আন্দোলনের অন্যতম উদ্দেশ্য। ১৯০৭ খ্রিষ্টাব্দে ব্রিটেনের ব্রাউন্সি দ্বীপে স্কাউট আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা লর্ড ব্যাডেন পাওয়েল স্কাউটিং কার্যক্রমের সূচনা করেছিলেন।
বর্তমানে বিশ্বের ১৭৩টি দেশের ৪ কোটি ৩০ লাখ শিশু, কিশোর ও যুবকরা স্কাউট প্রতিজ্ঞা গ্রহণ করে আত্মনির্ভরশীল, পরোপকারী, সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠার মন্ত্রে উজ্জীবিত রয়েছে।
বাংলাদেশে ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দের ৮-৯ এপ্রিল দেশের স্কাউট নেতারা ঢাকায় এক সভায় মিলিত হয়ে গঠন করেন ‘বাংলাদেশ স্কাউট সমিতি। একই বছরের ৯ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রপতির ১১১ নং অধ্যাদেশ বলে ওই সমিতি সরকারি স্বীকৃতি লাভ করে এবং স্বাধীন বাংলাদেশে স্কাউটিংয়ের অগ্রযাত্রা শুরু হয়। বাংলাদেশ স্কাউটস বিশ্ব স্কাউট সংস্থার ১০৫তম সদস্য। ১৯৭৮ খ্রিষ্টাব্দের ১৮ জুন জাতীয় কাউন্সিলের পঞ্চম সভায় পুনরায় এর নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় ‘বাংলাদেশ স্কাউটস’।