সাত বছর আগে হঠাৎ করেই নিখোঁজ হয়েছিলেন বাংলাদেশের হবিগঞ্জ জেলার বাসিন্দা সম্পদ রঞ্জন রায়। সম্প্রতি ফেসবুকের মাধ্যমে পরিবারের সদস্যরা জানতে পারেন তিনি ভারতে অবস্থান করছেন।
এ অবস্থায় গত শনিবার ৫৫ বছর বয়সী ওই শিক্ষককে আসামের করিমগঞ্জ ও বাংলাদেশের বিয়ানীবাজার সীমান্ত দিয়ে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ।
ভারতের সেভেন সিস্টার্স ভিত্তিক পত্রিকা ইস্টমোজো-এর এক প্রতিবেদনে এ খবর জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের হবিগঞ্জ জেলায় একটি কলেজে অধ্যাপনা করতেন সম্পদ রঞ্জন রায়। তবে তাঁর মধ্যে কিছু মানসিক সমস্যার লক্ষণ ছিল।
অজয় কুমার রায় নামে সম্পদের এক জ্ঞাতি ভাই আসামের সীমান্তবর্তী শহর করিমগঞ্জে বসবাস করেন। অজয় জানান, সম্প্রতি ফেসবুকে কিছু ছবি ও ভিডিও দেখে সাত বছর আগে হারিয়ে যাওয়া সম্পদ রঞ্জন রায়কে চিনতে পারেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। পরে তাঁরা নিশ্চিত হন—সম্পদ ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের একটি এলাকায় অবস্থান করছেন।
এ অবস্থায় সম্পদের স্বজনরা আসামের করিমগঞ্জ শহরে বসবাস করা অজয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পরে এ ধরনের ইস্যু নিয়ে কাজ করা ‘রবিন-হুড আর্মি’ নামে একটি সংগঠনের কাছে সহযোগিতা চান অজয়। ওই সংগঠনটি ত্রিপুরার কিছু ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করে সম্পদের অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হয়।
অজয় বলেন, ‘রবিন হুডের সদস্যরা পরে ত্রিপুরা যান। সেখানকার উত্তরাঞ্চলীয় শনিচেরা জেলায় গিয়ে সম্পদের দেখা পান তাঁরা। পরে সম্পদকে করিমগঞ্জে নিয়ে আসেন এবং আমার বাসায় তাঁকে কিছুদিন রেখে চিকিৎসা দেওয়া হয়।’
শনিবার বিভিন্ন আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিয়ানীবাজারের সুতারকান্দি সীমান্ত দিয়ে সম্পদকে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বিএসএফ এবং বাংলাদেশি বিজিবি এর যৌথ উদ্যোগে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। এ সময় সম্পদের ভাই কমলেন্দু রায় দুই দেশের সরকার এবং কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ দিয়ে জানান, অনেক খোঁজাখুঁজি করার পর তাঁরা সম্পদকে পাওয়ার আশা ছেড়ে দিয়েছিলেন। তাঁকে খুঁজে পাওয়ায় স্বজনদের মধ্যে এখন আনন্দ বিরাজ করছে।