কুড়িগ্রামে নিখোঁজের এক দিনের মাথায় এক স্কুলছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে এক কিশোরকে আটক করেছে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক ওই কিশোর ঘটনাটির সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।
বুধবার জেলার সদরের বেলগাছা ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের বেলগাছা গ্রামের এক পরিত্যাক্ত বাড়ি থেকে ওই স্কুলছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করে সদর থানা পুলিশ। নিহত ওই স্কুলছাত্রের নাম সিমিত চন্দ্র। সিমিত ওই গ্রামের মানিক চন্দ্র ছেলে ও স্থানীয় এক স্কুলে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র ছিলেন।
বেলগাছা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান লিটন মিয়া দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, গত মঙ্গলবার রাতে স্থানীয় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের গীতা সংঘ অনুষ্ঠান দেখতে যান সিমিত ও তার বড় ভাই। সিমিতকে অনুষ্ঠানস্থলে রেখে বাড়ি ফেরে তার বড় ভাই। পরে অনুষ্ঠান থেকে ফেরার পথে সিমিতের সঙ্গে অভিযুক্ত কিশোরের কথা কাটাকাটি হয়। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সিমিতকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে ওই কিশোর। পরে তাদের একটি পরিত্যাক্ত বাড়ির পেছনের গর্তে সিমিতের মরদেহ পুতে রাখা হয়। অনুষ্ঠান শেষে সিমিত বাড়িতে না ফিরলে স্বজনরা তা খোঁজে বের হয়। তারা এ বিষয়ে ওই কিশোরকে জিজ্ঞাসা করলে সে অসংলগ্ন আচরণ করে। পরে অভিযুক্ত ওই কিশোরের বাবা পরিত্যাক্ত বাড়ির পেছনের একটি গর্তে সিমিতের মরদেহ দেখিয়ে দেন। পরে ঘটনাস্থল থেকে নিহত স্কুল ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে ওই চেয়ারম্যান আরো বলেন, সম্ভবত সিমিতকে হত্যার পর ওই কিশোর তার বাবাকে ঘটনা বলেছিলো। পরে বাবা ছেলে মিলে শিশুটির মরদেহ গর্তে পুতে রাখার চেষ্টা করে থাকতে পারে। তবে পুলিশ তদন্ত করে প্রকৃত ঘটনা জানতে পারবে।
এদিকে কুড়িগ্রাম সদর থানার অফিসার ইন চার্জ (ওসি) এম আর সাঈদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, অভিযুক্ত ওই কিশোরের সঙ্গে একটি মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। কিন্তু মেয়েটির অন্যত্র বিয়ে হয়ে যাওয়াতেই সিমিতসহ অনেকেই ওই কিশোরকে খোঁচা দিতো। গত রাতে সিমিত ওই কিশোরকে আবারো খোঁচা দিলে সে সিমিতের গলা বগলদাবা করে ধরে। এতে শ্বাসরোধ হয়ে স্কুল ছাত্র সিমিত মারা যান।
ওসি আরো বলেন, অভিযুক্ত কিশোর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনা স্বীকার করেছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদে তার বাবার জড়িত থাকার তথ্য পাওয়া যায়নি। আমরা তাদের নিরাপত্তা হেফাজতে নিয়েছি। ভুক্তভোগী পরিবারের লিখিত অভিযোগ পেলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।