জোর করে অনুমতিপত্র আদায় করলেন ভিকারুননিসার সেই ১৬৯ ছাত্রীর অভিভাবক - দৈনিকশিক্ষা

জোর করে অনুমতিপত্র আদায় করলেন ভিকারুননিসার সেই ১৬৯ ছাত্রীর অভিভাবক

দৈনিক শিক্ষাডটকম প্রতিবেদক |

অবৈধ ভর্তি পুনর্বহালের দাবিতে বৃহস্পতিবার শিক্ষা ভবনে অবস্থান নিয়েছিলেন ভিকারুননিসা নূন স্কুলের প্রথম শ্রেণির ১৬৯ ছাত্রীর অভিভাবক।

বিকেল নাগাদ তারা নিজেরাই একটি অনুমতিপত্র লিখে তাতে সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তাকে সই করতে বাধ্য করেন বলে অভিযোগ উঠেছে। যাতে ওই ১৬৯ জনকে পুনরায় ভর্তি করাতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির প্রধানকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।   

শিক্ষা ভবনের একাধিক সূত্র দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

এর আগে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই দেখা যায়, অভিভাবকরা ভর্তি পুনর্বহালের দাবিতে শিক্ষা ভবনে জড়ো হয়েছেন। অধিদপ্তরের কলেজ শাখার পরিচালককে চাপ দিয়েছেন তাদের ভর্তির অনুমতি দেয়ার জন্য। এ সময় অধিদপ্তরে এক ভীতিকর পরিবেশের সৃষ্টি হয়।

এর আগে শনিবারও তারা একই দাবিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বাসবভন রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার সামনে অবস্থান নিয়েছিলেন। সে সময় অভিভাবকদের হাতে দাবি সংবলিত ব্যানার, ফেস্টুন দেখা গেছে। 

অভিভাবকরা জানান, চলতি শিক্ষাবর্ষে রাজধানীর বেইলি রোডের ভিকারুননিসা নূন স্কুলে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি হয় তাদের সন্তানেরা। তারা ৩ মাস ক্লাস করার পর জানতে পারেন বয়স সংক্রান্ত জটিলতায় ভর্তি বাতিল হয় ১৬৯ ছাত্রীর। অথচ তারা স্কুলের নিয়ম-কানুন মেনে ভর্তি হয়েছেন, এমন কী বিভিন্ন পরীক্ষায়ও অংশ নেয় ছাত্রীরা। নিয়ম মেনে বেতনও পরিশোধ করা হয়। কিন্তু শিক্ষাবর্ষের মাঝখানে স্কুলের এমন সিদ্ধান্তে ভর্তি পুনর্বহালের দাবিতে আন্দোলনে নামেন তারা।
 
পরে অভিভাবক হাইকোর্টেও রিট করেন একই দাবিতে। হাইকোর্টেও বহাল থাকে ভর্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত। অভিভাবকদের অভিযোগ, স্কুলের ভর্তি বাণিজ্য ও দুর্নীতির শিকার তাদের সন্তানেরা। দ্রুত ছাত্রীদের ক্লাসে ফেরার ব্যবস্থা করতে প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।

জানা যায়, ভিকারুননিসায় ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির ক্ষেত্রে বয়সের ঊর্ধ্বসীমা (নিজেদের নির্ধারিত) অনুসরণ না করে ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে প্রথম শ্রেণিতে বিধিবহির্ভূতভাবে ভর্তি হয় ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দে জন্মগ্রহণকারী ১০ জন এবং ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দে জন্মগ্রহণকারী ১৫৯ জন।
 
এ নিয়ে মোট ১৬৯ ছাত্রীর ভর্তি হলে তা বাতিল চেয়ে আবেদন করেন অন্য দুই ছাত্রীর অভিভাবক। স্কুল কর্তৃপক্ষ সাড়া না দেয়ায় তারা গত ১৪ জানুয়ারি হাইকোর্টে রিট করেন। তাদের অভিযোগ, নির্দিষ্ট বয়সের বাইরে ছাত্রীর ভর্তি করা হয়েছে স্কুলটিতে।

প্রাথমিকে ২০ হাজার শিক্ষকের পদ সৃষ্টি হচ্ছে - dainik shiksha প্রাথমিকে ২০ হাজার শিক্ষকের পদ সৃষ্টি হচ্ছে স্কুল শিক্ষাকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত বর্ধিত করা উচিত - dainik shiksha স্কুল শিক্ষাকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত বর্ধিত করা উচিত নতুন পাঠ্য বইয়ে থাকছে শহীদ আবু সাঈদ ও মুগ্ধের বীরত্বগাথার গল্প - dainik shiksha নতুন পাঠ্য বইয়ে থাকছে শহীদ আবু সাঈদ ও মুগ্ধের বীরত্বগাথার গল্প শিক্ষার্থীদের দুপক্ষের দফায় দফায় সং*ঘর্ষে উত্তপ্ত চট্টগ্রাম! - dainik shiksha শিক্ষার্থীদের দুপক্ষের দফায় দফায় সং*ঘর্ষে উত্তপ্ত চট্টগ্রাম! শিক্ষাক্ষেত্রে আমরা পিছিয়ে আছি - dainik shiksha শিক্ষাক্ষেত্রে আমরা পিছিয়ে আছি ইএফটিতে বেতন দিতে এমপিও আবেদনের সময় এগোলো - dainik shiksha ইএফটিতে বেতন দিতে এমপিও আবেদনের সময় এগোলো কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক - dainik shiksha কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0037260055541992