নিজের ব্যর্থতা স্বীকার করে নিলেন মাশরাফি - দৈনিকশিক্ষা

নিজের ব্যর্থতা স্বীকার করে নিলেন মাশরাফি

দৈনিক শিক্ষাডটকম ডেস্ক |

বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের কাছে যে কয়েকটা নাম অত্যন্ত জনপ্রিয়, যাদের কথায় তরুণ প্রজন্ম প্রভাবিত হয়ে থাকেন, তার মধ্যে অন্যতম ছিলেন জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক ও নড়াইল-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মোর্ত্তজা। তবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নীরব ভূমিকা তার এই জনপ্রিয়তাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। সেই সঙ্গে ক্ষুব্ধও হয়েছেন অনেকে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়েছে। দলপ্রধানের পদত্যাগের পর গা ঢাকা দিয়েছেন বাকি সংসদ সদস্য ও মন্ত্রীরা। অনেকে দেশও ছেড়েছেন। তবে দেশেই আছেন নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফি। সরকার পতনের এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে চুপ থাকলেও অবশেষে একটি বেসরকারি অনলাইন পোর্টালের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হয়েছেন মাশরাফি। জানিয়েছেন, ছাত্রদের আন্দোলনের পক্ষে কথা বলতে না পেরে পুরোপুরি হতাশ তিনি। যৌক্তিক আন্দোলনে নিজের অবস্থান জানাতে না পারার দায় পুরোপুরি নিয়েছেন সাবেক তারকা ক্রিকেটার।

মাশরাফি বলেন, ‘এই কষ্ট থাকবেই। হয়তো আজীবন থাকবে। দেশের একটা ক্রাইসিস মুহূর্তে পাশে থাকতে পারিনি, কিছু করতে পারিনি, এটা আমাকে সব সময়ই ভোগাবে, পোড়াবে। সব সময়ই থেকে যাবে। সব সময় সব কথা বলা যায় না। কিছু জিনিস হয়তো বলার ব্যাপারও নয়। এত দিন চুপ ছিলাম। আজকে কিছু বলছি। কিছু হয়তো সামনে বলব। জীবনে অনেক কিছু হবে। তবে এই কষ্টটা রয়ে যাবে। যত কিছুই হোক, এটা কখনো যাবে না। নিজের ওপর সেই হতাশা সব সময়ই থাকবে।’

কোটা সংস্কার আন্দোলন যৌক্তিক বলে উল্লেখ করেন মাশরাফি নিজেও। জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক এ অধিনায়ক বলেন, ‘কোটা সংস্কারের আন্দোলন অবশ্যই যৌক্তিক ছিল। আমার নিজের কাছেও মনে হচ্ছিল, এটা হয়ে যাবে। তবে সবাই যখন চাচ্ছিল যে আমি কিছু একটা বলি বা স্ট্যাটাস দিই (ফেসবুকে), ততক্ষণে আসলে সব কিছু এত দ্রুত হচ্ছিল, ভাবছিলাম যে আমি যদি কিছু লিখি বা মন্তব্য করি, সেটার সম্ভাব্য পরিণতি কী হতে পারে, অনেক কিছু ভাবছিলাম আর কী, সব মিলিয়ে কিছু লেখা হয়নি।’

নিজে কিছু না বললেও পরিবারের সদস্যদের ছাত্র আন্দোলনে যেতে বাধা দেননি, বরং উৎসাহ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন মাশরাফি। মেয়েকে বলেছেন, সহপাঠীদের সঙ্গে আন্দোলনে থাকতে।

মাশরাফি বলেন, শুধু আমি নই, আমার মনে হয়, এই আন্দোলন নিয়ে যা কিছু লিখতে বা করতে পারেনি, তাদের সবাইকেই এই প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়েছে- নিজের পরিবার, বন্ধু-বান্ধব বা ঘনিষ্ঠজনদের কাছে।'

মাশরাফি বলে, ‘আমার মেয়ে হুমায়রা ইনস্টাগ্রাম ব্যবহার করে। আমার সেখানে অ্যাকাউন্ট থাকলেও সেভাবে দেখতাম না, ওকেও ফলো করতাম না। আমাকে আমার এক ছোট ভাই জানাল যে, হুমায়রা ইনস্টাগ্রামে অনেক কিছু দিচ্ছে বা শেয়ার করছে। ১৭ জুলাই থেকেই দিচ্ছে। আমি ওকে জিজ্ঞেস করলাম। ও বলল, ‘হ্যাঁ, আমি এসব দিচ্ছি। তোমার কি আপত্তি আছে?’ আমি বললাম, ‘না, আমার সমস্যা নেই।’ আমি বরং ওকে এটাও বলেছি, ‘তোমার স্কুল থেকে বা বন্ধুরা আন্দোলনে গেলে তুমিও সঙ্গে থেকো।’ আমার পদের জন্য বা চেয়ারের জন্য তাকে বাধা পেতে হবে, এটা কখনও চাইনি।’

প্রশ্নফাঁসের প্রমাণ মেলেনি, আদালতে প্রতিবেদন জমা - dainik shiksha প্রশ্নফাঁসের প্রমাণ মেলেনি, আদালতে প্রতিবেদন জমা টুকু-পলক-সৈকত ডিবিতে - dainik shiksha টুকু-পলক-সৈকত ডিবিতে কলেজ ভর্তির সময় আবারো বাড়লো - dainik shiksha কলেজ ভর্তির সময় আবারো বাড়লো শেখ হাসিনাসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগের তদন্ত শুরু - dainik shiksha শেখ হাসিনাসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগের তদন্ত শুরু স্থগিত এইচএসসি পরীক্ষা ১১ সেপ্টেম্বর শুরু হতে পারে - dainik shiksha স্থগিত এইচএসসি পরীক্ষা ১১ সেপ্টেম্বর শুরু হতে পারে আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করেছেন ১৯ ভিসি - dainik shiksha আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করেছেন ১৯ ভিসি সরকারের পলিসি ডিসিশনে আদালতের নাক গলানো উচিত নয় : হাইকোর্ট - dainik shiksha সরকারের পলিসি ডিসিশনে আদালতের নাক গলানো উচিত নয় : হাইকোর্ট সরকারের পলিসি ডিসিশনে আদালতের নাক গলানো উচিত নয় : হাইকোর্ট - dainik shiksha সরকারের পলিসি ডিসিশনে আদালতের নাক গলানো উচিত নয় : হাইকোর্ট কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0040850639343262