বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেছেন, ‘আমরা যে সংস্কারের কথা বলছি, তা নিজ ঘর থেকে শুরু করতে হবে। কারণ দালাল, চাঁদাবাজ, সিন্ডিকেটের সদস্যরা কোনো না কোনো পরিবারের সদস্য। বিগত সরকার গত ১৬ বছরে একটা ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র কায়েম করেছে।
শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে দুর্নীতি, চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ছাত্র নাগরিক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সারজিস বলেন, ‘আমাদের নিজেদের মধ্যে যে ফ্যাসিবাদ তৈরি হয়েছে, লুটপাট, শোষণ, নির্যাতন, নিপীড়ন করার যে মানসিকতা তৈরি হয়েছে তা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। এই নোংরা সিস্টেম দূরে থাকতে পারি তাহলে অবশ্যই পরিবর্তন আসবে। আমি নিশ্চিত করতে বলতে পারি, আমাদের নিজেদের সংস্কার গ্রাম থেকে শহর, শহর থেকে বিভাগ হয়ে জাতীয় পর্যায়ে পৌঁছাবে। আমরা যে বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছি সেটি বাস্তবায়ন করতে পারব।’
ঠাকুরগাঁওয়ে মামলা মামলা খেলা চলছে জানিয়ে এ সমন্বয়ক আরও বলেন, ‘আসামি করা আর নাম বাদ দেওয়া নিয়ে বাণিজ্য হচ্ছে। আমরা এর জন্য আন্দোলন করিনি। এসব বন্ধ করতে হবে, না হলে আমরা ব্যবস্থা নেব। সনাতন ধর্মের মানুষেরা এতদিন বুঝে না বুঝে শুধু নৌকাকে পছন্দ করতে। আসলে আমাদের মাঝে কোনো ভেদাভেদ থাকবে না। এই দেশ একার কারও নয়, দেশ সবার।’
অভিভাবকদের উদ্দেশে সারজিস আলম বলেন, ‘আপনাদের সন্তানদের চিকিৎসক, ইঞ্জিনিয়ার বানানোর পাশাপাশি রাজনৈতিকভাবে সচেতন করতে হবে। কারণ জাতীয় সংসদে মেধাবীদের প্রয়োজন। মেধাবীরা রাজনীতিতে না এলে কম মেধাবীরা সেই স্থান দখল করবে।’
‘হাজারও ছাত্র-জনতার শহীদের বিনিময়ে যে স্বাধীনতা আমরা অর্জন করেছি, কোনো অপশক্তি সেই স্বাধীনতাকে নষ্ট করার চেষ্টা করলে প্রতিহত করা হবে।’, যোগ করেন তিনি।
সীমান্ত হত্যার বিষয়ে সারজিস বলেন, সীমান্তে মানুষকে গুলি করে মারছে বিএসএফ। কোনো গুলির বিচার ফ্যাসিস্ট হাসিনা করতে পারেননি। এবার সীমান্তে হত্যাকাণ্ড চালালে সবাইকে নিয়ে তার উচিত জবাব দেওয়া হবে।
এ সময় সমন্বয়ক মো. সজীব হোসেনী, সুবাস, রেদোয়ান, রকিব মাসুদসহ জেলার সমন্বয়করা উপস্থিত ছিলেন।