ভারতে বাড়ছে নিপাহ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব। এর প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়েছে দেশটির কেরালা রাজ্যে।
এই রাজ্যে নিপাহ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ায় অনির্দিষ্টকালের জন্য সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করার ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
বিশেষ করে রাজ্যের কোঝিকোড় জেলায় ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে স্কুল, কলেজ, টিউশন সেন্টারসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ করে দেয়ার ঘোষণা এসেছে। রাজ্য সরকার আরও ঘোষণা করেছে যে, পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বেপুর বন্দর কার্যক্রম স্থগিত রাখবে।
কোঝিকোড় সিটির মেয়র বীণা ফিলিপ সব এলাকাকে কন্টেনমেন্ট জোন হিসেবে ঘোষণা করেছেন। পাশাপাশি জেলা কালেক্টর এ গীথা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ করে অনলাইন ক্লাসের সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। তিনি আরও ঘোষণা করেছেন, পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বেপুর বন্দর বন্ধ থাকবে। কিছু ক্ষেত্রে মাছ ধরা, জাহাজের পণ্য অবতরণ ও বিক্রির জন্য বিকল্প স্থান বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
জানা গেছে, কেরালা সরকার চলমান নিপাহ ভাইরাস প্রাদুর্ভাব কমানোর জন্যই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সংক্রমণের উত্স এবং ভাইরাস শনাক্ত করতে রাজ্য সরকার মোবাইল টাওয়ারের অবস্থানগুলো ট্র্যাক করছে।
মূলত, ভারতে শিশুদের মধ্যে নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর সামনে আসছে, বিশেষ করে যাদের শরীরে ইমিউনিটি কম। তবে অনেক ক্ষেত্রে বড়দের এবং বয়স্কদের আক্রান্ত হওয়ার খবরও সামনে এসেছে।
কেরালার স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীণা জর্জ জানান, এখনও পর্যন্ত ছয়জনের দেহে নিপাহ ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৩০ বছর বয়সী একজন ব্যক্তিও আছেন। এ ছাড়া ৯৪ জনের দেহে এই ভাইরাসের পরীক্ষা করা হয়েছে। যেখানে দেখা গেছে, ঝুঁকিপূর্ণ না হলেও তাদের শরীরে ভাইরাস বাসা বেঁধেছে।
কেরালায় নিপাহ ভাইরাস শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় নড়েচড়ে বসেছে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিকেল রিসার্চ। সংক্রমণ রুখতে প্রয়োজনীয় মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি পাঠানো হয়েছে রাজ্যটিতে। ভ্যাকসিনটি ক্লিনিক্যালি প্রমাণিত না হলেও নিপাহ ভাইরাসের চিকিৎসায় এটিই একমাত্র অ্যান্টিভাইরাল বলে সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।