পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলার কলারণ চন্ডিপুর আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অফিস সহায়ক পদে নিয়োগ জালিয়াতির অভিযোগে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন ইউএনও।
আজ শুক্রবার (৪ আগস্ট) পাওয়া তথ্যেরভিত্তিতে জানা যায়, ১ আগষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিন্টু কুমার হালদারের বিরুদ্ধে সনাতন ভদ্র নামে একজন অফিস সহায়ককে নিয়োগ প্রদানে জালিয়াতির অভিযোগে এনে এক সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন ইউএনও লুৎফুন্নেসা খানম। তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সোহাগ হোসেনকে।
এর আগে গত ২৭ জুলাই ওই বিদ্যালয়ের অভিভাবক সদস্য লিলি আকতারের অভিযোগের ভিত্তিতে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ওই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে কমিশনের সহকারী পরিচালক সাইফুল ইসলামকে প্রধান করে এক সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন দুদকের সৈয়দ ইকবাল হাসেন।
তদন্ত কর্মকর্তা ও উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সোহাগ হোসেন জানান, কলারণ চন্ডিপুর আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয় অফিস সহায়ক নিয়োগে অনিয়মের বিষয়টি তাঁকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। চিঠি পেলেও এখনো কার্যক্রম শুরু হয়নি।
ইউএনও লুৎফুন্নেসা খানম জানান, ও বিদ্যালয় অফিস সহায়ক নিয়োগে নিয়ে প্রধান শিক্ষকের জালিয়াতির ব্যাপারে পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ এবং অভিভাবকদের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পেলে প্রধান শিক্ষকসহ জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক মিন্টু কুমার বলেন, দুদকের ঢাকা অফিস থেকে তদন্ত কমিটি গঠনের ব্যাপারে চিঠি পেয়েছি। কমিটিকে সব কাগজপত্র দেখানো হবে।'
বিদ্যায়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মাহবুবুর রহমান মঞ্জু জানান, প্রধান শিক্ষক মিন্টু কুমার ও সহকারী শিক্ষক ফোরকান গাজী ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের না জানিয়ে জাল জালিয়াতির মাধ্যমে নিয়োগ দিয়েছেন। এ বিষয় কোন সভা হয়নি বা তাঁর স্বাক্ষরও নেওয়া হয়নি।