গাজীপুরে একটি কলেজের অধ্যক্ষ ও শিক্ষকসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। জালিয়াতির মাধ্যমে অধ্যক্ষ নিয়োগ এবং জাল রেকর্ডপত্র প্রস্তুত করে সরকারি ২৫ লাখ ৭৪ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে এ মামলা করা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার গাজীপুর দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক এ কে এম তানভীর আহমেদ বাদি হয়ে ওই মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার আসামিরা হলেন, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের চান্দনা উচ্চ মাধ্যমিক ও কারিগরি কলেজের অধ্যক্ষ মো. মজিবুর রহমান, সাবেক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সুরেশ চন্দ্র বর্মন, গাজীপুর টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ হরিপদ চন্দ্র পাল, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের আঞ্চলিক পরিদর্শক বেলায়েত হোসেন, চান্দনা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের স্কুল ব্যবস্থাপনা কমিটির সাবেক সভাপতি হাজী আব্দুল বারেক সরকার এবং কমিটির সদস্য আমিনুল ইসলাম।
মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে নিয়ম বহির্ভূতভাবে প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে অধ্যক্ষ নিয়োগ এবং জাল রেকর্ডপত্র প্রস্তুত করেন। এভাবে তারা কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের সরকারি ফান্ডের ২৫ লাখ ৭৪ হাজার ৩১৭ টাকা উত্তোলন ও আত্মসাৎ করেন।
এজাহারে আরো উল্লেখ করা হয়, গাজীপুরের চান্দনা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের স্কুল ব্যবস্থাপনা কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী সাধারণ শাখায় অধ্যক্ষ নিয়োগের জন্য সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় এবং নিয়োগ কমিটি গঠন করা হয়। সাধারণ শাখায় নিয়োগের কথা থাকলেও ওই নিয়োগ কমিটিতে কারিগরি শিক্ষা বোর্ড প্রতিনিধি ও কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের ডিজি প্রতিনিধি রাখার কথা উল্লেখ করা হয়। কারিগরি শিক্ষা শাখায় কোনো নিয়োগের ক্ষেত্রে বাছাই কমিটি গঠনের এখতিয়ার শুধুমাত্র কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের। সেক্ষেত্রে আসামি মজিবুর রহমানকে অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগের ক্ষেত্রে কারিগরি বোর্ড থেকে কোনো বাছাই কমিটি গঠন করা হয়নি। চান্দনা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ কর্তৃপক্ষ নিজেরাই অধ্যক্ষ নিয়োগ কমিটি গঠন করেন। কারিগরি শাখায় অধ্যক্ষ নিয়োগের জন্য এবং এমপিওভুক্তির জন্য কারিগরি শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক বাছাই কমিটি গঠনের পত্র, বাছাই কমিটিতে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের প্রতিনিধি মননোয়ন ও বাছাই কমিটিতে কারিগরি অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের প্রতিনিধি মনোনয়নের পত্র প্রয়োজন হলেও অধ্যক্ষ নিয়োগ কমিটির সদস্যরা নিয়ম বহির্ভূতভাবে নিয়োগ দেন।
দুদকের গাজীপুর কার্যালয়ের উপপরিচালক মোজাহার আলী সরদার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মাধ্যমিক ও কারিগরি কলেজের অধ্যক্ষ ও শিক্ষকসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। জালিয়াতির মাধ্যমে অধ্যক্ষ নিয়োগ এবং জাল রেকর্ডপত্র প্রস্তুত করে সরকারি ২৫ লাখ ৭৪ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে এ মামলা করা হয়।