আমাদের বার্তা প্রতিবেদক: মাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষক আবুল হোসেনকে কলেজে ইসলামের ইতিহাসে প্রভাষক হিসেবে নিয়োগ দেবেন বলে ভুয়া নিয়োগপত্র এবং ভুয়া যোগদানপত্র দিয়ে ৫ লাখ টাকা নিয়েছেন তিনি। তাকে নিয়োগও দিচ্ছেন না, আবার টাকাও ফেরত দিচ্ছেন না।
মৃগংগ বিশ্বাস নামের আর একজনের কাছ থেকে ৫ লাখ ৯০ হাজার টাকা নিয়েছেন। কিন্তু কোনো নিয়োগপত্র ও এমপিওর কাগজপত্র পাঠাননি তিনি-এমন অন্তত সাতটি অভিযোগ রয়েছে যশোরের মনিরামপুর উপজেলার ঢাকুরিয়া কলেজের অধ্যক্ষ তাপস কুমার কুণ্ডের বিরুদ্ধে। তবে, এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন তাপস।
এ ছাড়াও কলেজের ফান্ড তছনছসহ নানা অনিয়মের মাধ্যমে কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে বিলাসী জীবন-যাপন করছেন অধ্যক্ষ।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, একই কলেজের কলেজের অর্থনীতির প্রভাষক বিমল কুমার রায় ২০১১ খ্রিষ্টাব্দ থেকে চাকরি করেন। তবে, তাপসের দাবি এই বিমল একই সঙ্গে দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। আবার নিজেকে সাংবাদিক বলেও দাবি করেন। বিমলের এসব কর্মকাণ্ড শিক্ষাবোর্ডের বেসরকারি শিক্ষকদের চাকরি সংক্রান্ত বিধান ও এমপিও নীতিমালার বিরুদ্ধ।
সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটি এমপিও হলেও বিমলকে বাদ দিয়ে এনামুল নামের একজনকে অর্থনীতির প্রভাষক হিসেবে নিয়োগ দেয়ার চেষ্টা করছেন অধ্যক্ষ। বিমল বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
অভিযোগ উঠেছে, অধ্যক্ষ তাপসকে মোটা অংকের টাকা দিয়ে ভুক্তভোগী আবুল হোসেন টাকা ফেরত পেতে এখন ঘুরছেন নানা মহলে। আবার টাকা দিয়ে মৃগংগ বিশ্বাস দীর্ঘদিন ধরে কলেজে সমাজকর্ম বিষয়ে ক্লাস নিয়েছেন। কিন্তু তার কোনো নিয়োগপত্র দেননি এবং এমপিওর জন্য তার কোনো কাগজপত্র পাঠানো হয়নি।
এ ছাড়াও কলেজ প্রতিষ্ঠাকালীন অফিস সহকারী ছিলেন আনিছুর রহমান। তিনি ১৯৯৯ খ্রিষ্টাব্দ থেকে চাকরি করে এলেও তাকে বাদ দিয়ে নতুন একজনকে নিয়োগ দিয়ে এমপিওভুক্তির চেষ্টা করছেন এই অধ্যক্ষ। আনিছুর দুদকে অভিযোগ করলেও এখন পর্যন্ত কোনো সুরহা পাননি।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত অধ্যক্ষ তাপস দৈনিক আমাদের বার্তাকে বলেন, বিষয়টি এক বছর আগের। এসব অভিযোগের তদন্ত কার্যক্রম চলছে। বিমল একইসঙ্গে দুই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। আবার তিনি কখনো সাংবাদিক বলেও পরিচয় দেন যেটা শিক্ষাবোর্ডের বিধান ও এমপিওনীতিমালার বিরুদ্ধ।