নেকড়ের আতঙ্কে কার্যত থমকে গিয়েছে ভারতের উত্তরপ্রদেশের বহরাইচের জনজীবন। বাইরে বার হতে ভয় পাচ্ছেন এলাকাবাসীরা। শুধু তাই-ই নয়, স্কুল-কলেজে যেতে গিয়ে নেকড়ের হামলার মুখে যাতে পড়ুয়ারা না পড়েন, তার জন্য সেগুলিও বন্ধ রাখা হয়েছে। এ ছাড়াও কৃষিকাজও বন্ধ হয়ে গিয়েছে। বন্ধ বেশির ভাগ দোকানপাট। বাড়িলাগোয়া যে সব দোকান রয়েছে, ইতিউতি সেগুলি খোলা রয়েছে।
চারটি নেকড়ে ধরা পড়ার পর বহরাইচের বাসিন্দারা একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছিলেন। কিন্তু সেই স্বস্তিও উবে গিয়েছে আবারও পর পর নেকড়ের হামলায়। পরে জানা যায়, ওই দলে চারটি নয়, ছ’টি নেকড়ে রয়েছে। এখন অধরা দুই নেকড়েই বহরাইচের ত্রাস হয়ে উঠেছে। গত বৃহস্পতিবার রাতেও হামলা চালায় নেকড়ে দু’টি। একটি শিশু সেই হামলায় আহত হয়েছে। এখনও পর্যন্ত নেকড়ের হামলায় আট শিশু-সহ ন’জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ২৪ জন।
দলের বাকি দুই নেকড়েকে ধরার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে বন দফতর। সূত্রের খবর, মানুষখেকো নেকড়েদের ধরতে বন দফতর ২৫টি দল গঠন করেছে। সেই দলে রয়েছে ১৮ জন শার্পশুটার। যে এলাকাগুলিতে নেকড়ের হামলা হচ্ছে, সেখানে স্থানীয়দের নিরাপত্তার জন্য ২০০ জন পুলিশকর্মীকে মোতায়েন করা হয়েছে। বহরাইচের ৩৫টি গ্রাম নেকড়ের আতঙ্কে সিঁটিয়ে রয়েছে।
থালিয়া গ্রামে এক বাসিন্দা রোলি সিংহ এক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, এই পরিস্থিতিতে কোন ঝুঁকিতে স্কুলে পাঠাব সন্তানদের? যদি ওরা সুরক্ষিত থাকে তা হলে আগামী দিনে পড়াশোনা করার অনেক সুযোগ পাবে।
৩৫টি গ্রামে পালা করে রাত জাগছেন গ্রামবাসীরা। এক গ্রামবাসী বলেন, কত রাত ঘুমোতে পারছি না। কিন্তু এখন জীবন-মরণ পরিস্থিতি। ফলে আমাদের কাছে আর বিকল্প কোনও পথ নেই।