আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট চেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এ নৌকাই দেবে স্মার্ট বাংলাদেশ। সোমবার (১৩ নভেম্বর) বিকেলে খুলনা সার্কিট হাউস মাঠে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় এ কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, নেতৃত্বহীন বিএনপি নির্বাচন বানচাল করতে চায়। এসময় তিনি দেশবাসীকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান। তার প্রত্যাশা খুলনাবাসী এবারও নৌকায় সমর্থন দেবে।
তিনি বলেন, স্বাধীনতা অর্জনের মতো স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণের দায়িত্বেও আওয়ামী লীগ সফল হবে।
বিএনপির সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি মানেই সন্ত্রাস, অত্যাচার, নির্যাতন। ২৮ অক্টোবর পুলিশকে লাঠিপেটা করে হত্যা করেছে, সাংবাদিকদের পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠিয়েছে। এদের মধ্যে কোনো মন্যুষত্ব নেই।
‘বিএনপি-জামায়াত কোনো মানুষের মঙ্গল করতে পারে না। মানুষ খুনই বিএনপির মূল গুণ। অগ্নিসন্ত্রাসীদের হাতেনাতে ধরতে পারলে ২০ হাজার টাকা পুরস্কার দেয়া হবে। যাতে তারা কোনো মানুষকে পুড়িয়ে মারতে না পারে’, বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, যারা আগুন দিয়ে মানুষকে মারে, তাদের কখনও ছাড় দেওয়া হবে না। বিএনপি কী ইসরায়েলের কাছে শিক্ষা নিয়েছে না কি? তারা তো একইভাবে হাসপাতালে হামলা চালিয়েছে। বিএনপি আসলে দেশের ধ্বংস চায়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষের জীবনমান উন্নয়ন করাই বর্তমান সরকারের লক্ষ্য। দেশে গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত থাকায় দেশে উন্নয়ন হয়েছে। গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত আছে বলেই বাংলাদেশের উন্নয়নটা এখন দৃশ্যমান। আর বিএনপির কাজ হচ্ছে ধ্বংস করা আর আগুন দিয়ে মানুষকে পুড়িয়ে মারা।
খুলনাবাসীকে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, খুলনায় আওয়ামী সরকার অনেক উন্নয়ন করেছে। তারপরও আজ যেগুলো উদ্বোধন করা হলো সেগুলো খুলনাবাসীর জন্য উপহার।
এর আগে বেলা পৌনে ৩টায় খুলনায় সার্কিট হাউস মাঠে খুলনায় ২৪টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও পাঁচটি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তিনি। এ সময় দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। এরপর খুলনা সার্কিট হাউস মাঠে আওয়ামী লীগ আয়োজিত খুলনা বিভাগীয় জনসভায় যোগ দেন শেখ হাসিনা।
এদিন সকাল থেকেই দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মিছিল-স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে জনসভাস্থল ও আশপাশের এলাকা। নগরজুড়ে সাজ সাজ রব।
এদিকে জনসভাস্থল ও তার আশপাশের এলাকায় মানুষের চাপ নিয়ন্ত্রণে ও প্রধানমন্ত্রীর জনসভা বেশি মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে মহানগরীতে বসানো হয়েছে ২০টি ডিজিটাল এলইডি স্ক্রিন।
জনসভা এলাকার চারদিকে বসানো হয়েছে এ স্ক্রিনগুলো। এ ছাড়া ৪০০টি মাইক স্থাপন করা হয়েছে। পাশাপাশি নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেওয়া হয়েছে খুলনা নগরীকে।