দৈনিক শিক্ষাডটকম প্রতিবেদক: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে দলীয় প্রার্থী হিসেবে বর্তমান সংসদ সদস্য মো. শাহজাহান আলম সাজুর নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছে আওয়ামী লীগ। আসনটি জাপার প্রার্থী মো. আবদুল হামিদকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। জাতীয় পার্টিকে ২৬টি এবং ১৪ দলের শরিকদের ৬টি আসন ছেড়ে দিয়েছে আওয়ামী লীগ। এর ফলে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই ৩২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী থাকছে না। দলীয় প্রার্থীদের প্রত্যাহার করে নেওয়ার বিষয়টি নির্বাচন কমিশনে (ইসি) চিঠি দিয়ে জানিয়েছে আওয়ামী লীগ।
রোববার বিকেলে এই চিঠি দেয়া হয়। এদিন বিকেলে দলীয় সিদ্ধান্তে আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে এসে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মো. শাহজাহান আলম সাজু। এসময় কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।
উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি জানান, দলীয় সিদ্ধান্তে তিনি মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন।
আওয়ামী লীগ গত ২৬ নভেম্বর জাতীয় সংসদের ৩০০ আসনের মধ্যে ২৯৮টিতে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করেছিলো। তখন যারা নৌকা প্রতীক পেয়েছিলেন, তাদের মধ্যে ৩০ জন মাত্র ২১ দিনের মাথায় বাদ পড়লেন। ১৪ দলের শরিক ও জাতীয় পার্টির (জাপা) সঙ্গে আসন নিয়ে সমঝোতা হওয়ায় নৌকা পেয়েও তারা হারালেন। অথচ তারা সবাই দলীয় মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। বাছাইয়েও তাদের মনোনয়নপত্র বৈধ হয়েছিলো। কিন্তু ১৭ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের কথা ইসিকে জানিয়েছে আওয়ামী লীগ।
জাপা সঙ্গে আওয়ামী লীগের সমঝোতা হয়েছে ঠাকুরগাঁও-৩, নীলফামারী-৩ ও ৪, রংপুর-১ ও ৩, কুড়িগ্রাম-১ ও ২, গাইবান্ধা-১ ও ২, বগুড়া-২ ও ৩, সাতক্ষীরা-২, পটুয়াখালী-১, বরিশাল-৩, পিরোজপুর-৩, ময়মনসিংহ-৫ ও ৮, কিশোরগঞ্জ-৩, মানিকগঞ্জ-১, ঢাকা-১৮, হবিগঞ্জ-১, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২, ফেনী-৩, চট্টগ্রাম-৫ ও ৮ এবং নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে। এর মধ্যে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে আগে থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছিল না।
১৪ দলের শরিকদের মধ্যে ওয়ার্কার্স পার্টি দুটি (বরিশাল-২ ও রাজশাহী-২), জাসদ তিনটি (কুষ্টিয়া-২, বগুড়া-৪ ও লক্ষ্মীপুর-৪) ও জাতীয় পার্টি (জেপি) একটি আসন (পিরোজপুর-২) পেয়েছে।