নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশ হওয়ার বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, কেন নয়াপল্টনে করতে চায় সেটা আমাদের দেখার বিষয় আছে। তারা যে ঘোষণা দিচ্ছেন সেখানে বসেই তারা ভবিষ্যতে রাষ্ট্র পরিচালনা করবে, সেগুলোই যদি হয়ে থাকে তাহলে সরকার আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে।
বুধবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টায় রাজধানীর তেজগাঁওয়ের আওলাদ হোসেন মার্কেটে এক অনুষ্ঠান শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, একটা রাজনৈতিক দল সমাবেশ করবে, তাতে কোনো বাধা নেই। দলের ইশতেহার অনুযায়ী তারা কাজ করবে এখানে সরকারের কোনো কিছু করার নেই। আমরা সব সময় বলে আসছি সেটাও নিয়ম মেনে চলতে হবে, দেশের যে প্রচলিত নিয়ম রয়েছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, তারা নাকি ২০-২৫ লাখ লোকের সমাবেশ ঘটাবে। আপনাদের কাছে আমার প্রশ্ন ২০-২৫ লাখ যদি হয় কোথায় এটা বসাবে। এমন কোনো জায়গা আছে ঢাকায় তাদের স্থান দেওয়ার? সেজন্যই আমাদের পুলিশ কমিশনার বলেছেন যেখানে বড় বড় সমাবেশ-মিটিং হয় যেখানে আওয়ামী লীগও সমাবেশ করে, অন্যান্য রাজনৈতিক দলও করে সেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের কথা। সেখানে অনেক সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানও হয়। সেখানে এ ধরনের লোক সংখ্যা হলেও কোনো অসুবিধা হবে না। তারা কেন আসছে না এটা তাদের ব্যাপার, আমাদের কিছু জানা নেই।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তারপর তারা বলছে ওই স্থান বাদ দিয়ে অন্য কোনো স্থানে। পুলিশ কমিশনার বলেছেন রাস্তা ছাড়া কোনো বড় জায়গায় যদি হয় তাহলে তারা একটা ব্যবস্থা নেবে।
অনুমতি না নিয়ে পল্টনেই সমাবেশ করতে চাইলে সরকার কী পদক্ষেপ নেবে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রাস্তাঘাট বন্ধ করলে, যানচলাচল বন্ধ করলে তারও একটি আইন রয়েছে। সরকার আইন প্রতিষ্ঠিত করতে ও আইনের সমুন্নত রাখার জন্য যা প্রয়োজন তাই করবে। এখানে আমাদের কথা হচ্ছে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করতে হবে। দেশের জানমাল রক্ষা করতে হবে। দেশে কেউ যদি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি করতে চায় তাহলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর যে অর্পিত দায়িত্ব সেটা তারা করবে।
নয়াপল্টনে সরকার সমাবেশ করতে দেবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, সেখানে দলের কার্যালয়ের সামনে তারা সবসময়ই তাৎক্ষণিক কিছু করে থাকে। তারা এ সমাবেশে বলছে ২৫ লাখ লোক আনবে। আমি সেই কারণে বলছি এ সমাবেশ করলে সমস্ত ঢাকা শহর কী অবস্থা হবে সেটা আপনারা নিজেরাও জানেন। সেজন্যই তাদের একটা ভালো জায়গা দিয়ে আসছি। সেখানে ছাত্রলীগের সম্মেলন ছিল, ছাত্রলীগের সম্মেলন আমরা অনুরোধ করে এগিয়ে নিয়ে আসছি এবং তাদের (বিএনপি) উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। আমার মনে হয় এটা কোনো যুক্তি নয় যে সেখানে ছাড়া তারা নয়াপল্টনেই যাবে।
মানবাধিকারের প্রশ্নে ১৫ দেশের রাষ্ট্রদূতের দেওয়া বিবৃতির বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে একটি জাতীয় মানবাধিকার কমিশন রয়েছে। মানবাধিকার কমিশন এবং আমাদের মানবাধিকার সমন্বিত রাখার জন্য আমাদের সরকার যতখানি সচেষ্ট আমি মনে করি পৃথিবীর অনেক দেশের চেয়ে আমরা অনেক বেশি সচেষ্ট। মানবাধিকার ক্ষুণ্ন হোক পৃথিবীর অন্যান্য দেশ যেমন চায় না আমরাও চাই না। এর চেয়ে বেশি আমার মনে হয় বলার সময় আসেনি।