নয়া দিগন্তের সাংবাদিক যখন শ্রেষ্ঠ শিক্ষক, নানা প্রশ্ন - দৈনিকশিক্ষা

নয়া দিগন্তের সাংবাদিক যখন শ্রেষ্ঠ শিক্ষক, নানা প্রশ্ন

দৈনিক শিক্ষাডটকম |

দৈনিক শিক্ষাডটকম প্রতিবেদক: শিক্ষা বহির্ভুত কাজ যেমন রাজনীতি, নোট-গাইডের ব্যবসা, সাংবাদিকতার নামে বিজ্ঞাপনের কমিশন খাওয়া ও চাঁদাবাজি করাসহ নানা লাভজনক কাজে ব্যস্ত থাকেন এমপিওভুক্ত ও ননএমপিও শিক্ষকরা। এবং তারাই কৌশলে জাতীয়করণের বিরোধীতা করেন। কারণ, জাতীয়করণ হয়ে গেলে এসব বন্ধ হয়ে যাবে। অপরদিকে লাখ লাখ নিরীহ সাধারণ এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা জাতীয়করণের দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন। 

এমপিও শিক্ষকরা শিক্ষা বহির্ভুত কাজে যুক্ত থাকেন আর শিক্ষা ক্যাডারসহ অন্যান্য আমলারা  সরকারকে চোকে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেন এই যে চেয়ারম্যান সাহেব যদি সরকারি শিক্ষক হয়ে যান তাহলে তার আচরণ কি রাতারাতি বদলাবে? চেয়ারম্যানের শিক্ষা জীবনে  একাধিক তৃতীয় বিভাগ ইত্যাদি। অপরদিকে প্রকৃত শিক্ষাবিদরা বলে থাকেন, সাংবাদিকতার নামে ছ্যামরামি করে ক্লাস ফাঁকি দেয় আর সাংবাদিকতা পেশার বারোটা বাজায়। এছাড়া ডিসি, ইউএনও, ওসি এবং উপজেলা শিক্ষা অফিসারের দালালি করে সারাদেশের মুষ্টিমেয় এমপিওভুক্ত ও ননএমপিও শিক্ষক। ছ্যাঁচরামির পুরস্কার পায় ফি বছর। শ্রেষ্ঠ তকমা জোটে।  ছেলেমেয়েদেরকেও শ্রেষ্ট তকমা জুটিয়ে দেন এসব নামধারী শিক্ষকরা। অথচ শিক্ষাবোর্ডের বিধান ও এমপিও নীতিমালায় বলা হয়েছে বেসরকারি শিক্ষকরা কোনো লাভজনক বা অলাভজক কিছুতে যুক্ত হতে পারবেন না। ঘুষখোর জেলা ও উপজেলা শিক্ষা অফিসারার এই বিধান জানলেও প্রকৃত সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে এড়িয়ে যান। 

 

আবার কোনো কোনো জেলা প্রশাসক ডিসি সম্মেলনে উত্থাপনের জন্য এমপিওশিক্ষকদের অন্য পেশায় যুক্ত হওয়া নিষিদ্ধ চেয়ে সুপারিশ করেন। কিন্তু ওইসব সুপারিশ বাস্তবায়ন হয় না। 

আজ বৃহস্পতিবার যুদ্ধাপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত মীর কাশেম আলীর মালিকানাধীন দৈনিক নয়াদিগন্ত পত্রিকায় প্রকাশিত এমন একটি প্রতিবেদন দেখুন : 

বরিশাল বিভাগে শ্রেষ্ঠ মাদরাসা শিক্ষক নির্বাচিত হয়েছেন খান মো. নাসির উদ্দিন।জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ-২০২৪ আয়োজিত মাদরাসা  পর্যায়ের শ্রেষ্ঠ শ্রেণি শিক্ষক ক্যাটাগরিতে তিনি এ শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেন।

নাসির উদ্দিন পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলার উত্তর পশ্চিম কলারণ আজাহার আলী দাখিল মাদরাসার আইসিটি বিষয়ের শিক্ষক এবং দৈনিক নয়াদিগন্তের পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলা প্রতিনিধি।  

শিক্ষা মন্ত্রণালয় আয়োজিত জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ-২০২৪ এর মাদরাসা পর্যায়ের শ্রেণি শিক্ষক ক্যাটাগরিতে অংশ নিয়ে তিনি প্রথমে নিজ উপজেলা ও জেলায় নির্বাচিত হয়ে ১২ মে বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার মহোদয়ের কার্যালয়ে সাক্ষাৎকারে উপস্থিত হয়ে বরিশাল বিভাগের শ্রেষ্ঠ মাদরাসা শিক্ষকের মর্যাদা লাভ করেন। আগামী ২২ মে ঢাকায় জাতীয় পর্যায়ে এ প্রতিযোগিতা হওয়ার কথা রয়েছে। 

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহে নাসির উদ্দিন পিরোজপুর জেলার শ্রেষ্ঠ মাদ্রসাশিক্ষক এবং একই সঙ্গে তার মেয়ে নাজিয়া নওরীন জেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থী নির্বাচিত হয়েছিলেন।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় দেশের প্রতিটি মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ, কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও মাদরাসার শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের মধ্যে সাংস্কৃতিক ও শিক্ষার চেতনা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এই চারটি পর্যায়ে বিভিন্ন ক্যাটগরির মানদণ্ডে আলাদা আলাদা শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান, শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান প্রধান, শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থী এবং শ্রেষ্ঠ শ্রেণি শিক্ষক নির্বাচনের জন্য প্রতিবছর জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ পালন করে আসছে।

শিক্ষার্থীদের কোটা আন্দোলনে রাজনৈতিক ইস্যু যুক্ত হয়েছে: কাদের - dainik shiksha শিক্ষার্থীদের কোটা আন্দোলনে রাজনৈতিক ইস্যু যুক্ত হয়েছে: কাদের কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীদের ধৈর্য ধরতে বললেন অ্যাটর্নি জেনারেল - dainik shiksha কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীদের ধৈর্য ধরতে বললেন অ্যাটর্নি জেনারেল রেললাইন অবরোধ করে রাবি শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ - dainik shiksha রেললাইন অবরোধ করে রাবি শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ পাঁচ হাজার টাকায় মেলে এইচএসসির প্রশ্ন সঙ্গে জিপিএ ৫ - dainik shiksha পাঁচ হাজার টাকায় মেলে এইচএসসির প্রশ্ন সঙ্গে জিপিএ ৫ কোটা বাতিলের দাবিতে ববি শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধ - dainik shiksha কোটা বাতিলের দাবিতে ববি শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধ ভারী বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত মুম্বাইয়,বন্ধ স্কুল-কলেজ - dainik shiksha ভারী বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত মুম্বাইয়,বন্ধ স্কুল-কলেজ কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে র‌্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে থাকা কলেজগুলোর নাম এক নজরে - dainik shiksha র‌্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে থাকা কলেজগুলোর নাম এক নজরে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0047450065612793