দৈনিক শিক্ষাডটকম প্রতিবেদক: পশ্চিমাদের অনুষ্ঠান বর্জনকে পাত্তা না দিয়ে শপথ নিয়েছেন ভ্লাদিমির পুতিন। শপথ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে তিনি পঞ্চম বারের মতো প্রেসিডেন্ট পদে আসিন হলেন। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৭ মে) দুপুর দেড়টার দিকে মস্কোর গ্র্যান্ড ক্রেমলিন প্যালেসের সুসজ্জিত সেইন্ট অ্যান্ড্রিউ হলে শপথ নেন তিনি।
সরকারি-বেসরকারি সব টেলিভিশন চ্যানেল পুতিন এই শপথ অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচার করেছে।
শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে রুশ সরকারের সব উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও বিদেশি কূটনীতিকদের নিমন্ত্রণ করা হয়েছিল। এছাড়া এতে আমন্ত্রণ জানানো হয় মস্কোতে নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত পিয়েরে লেভিকে।
তবে পুতিনের শপথ অনুষ্ঠান বর্জন করেছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, পোল্যান্ড, জার্মানি এবং চেক রিপাবলিক। ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর ‘অন্যায়’ অভিযানের প্রতিবাদ হিসেবে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে নিজ নিজ রাষ্ট্রদূতদের না যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
১৯৯৯ খ্রিষ্টাব্দে প্রথমাবরের মতো রাশিয়ার অস্থায়ী প্রেসিডেন্ট হন পুতিন। এরপর ২০০০ খ্রিষ্টাব্দের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ৫৩ শতাংশ ভোট পেয়ে প্রথমবারের মতো প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জেতেন তিনি।
রাশিয়ার সংবিধানেও কোনো ব্যক্তি দুই মেয়াদের বেশি প্রেসিডেন্ট পদে থাকার অনুমতি ছিল না থাকায় ২০০৮ খ্রিষ্টাব্দের নির্বাচনে তিনি নিজের বিশ্বস্ত অনুসারী দিমিত্রি মেদভেদেভকে প্রেসিডেন্ট পদে দাঁড় করিয়ে প্রধানমন্ত্রী পদে নির্বাচন করেন। ওই নির্বাচনে তারা দুজনই জয়ী হয়।
পরবর্তীতে ২০১২ খ্রিষ্টাব্দে ফের প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত হয়ে প্রেসিডেন্টের মেয়াদকাল ৪ বছর থেকে ৬ বছরে উন্নিত করার পাশাপাশি দুই বারের বেশি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থীতা না করার যে বাধ্যবাধকতা তা বাতিল করেন। পরে ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের নির্বাচনেও জয়ী হন তিনি।
সর্বশেষ গত মার্চে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বিপুলে ভোটে জয়ী হন ভ্লাদিমির পুতিন।
সূত্র: রয়টার্স