গত দুই বছরে পদ্মা সেতু থেকে টোল আদায় হয়েছে ১ হাজার ৬৪৮ কোটি ৭৬ লাখ ১৮ হাজার ৩০০ টাকা। প্রতিদিন গড়ে ২ কোটি ২৫ লাখ টাকা টোল আদায় হয়েছে। এ সময় সেতু দিয়ে ১ কোটি ২৭ লাখ ১৩ হাজার ২৭৫টি যানবাহন পারাপার হয়েছে।
সেতুর সাইট অফিসের অতিরিক্ত পরিচালক আমিরুল হায়দার চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
২০২২-২৩ খ্রিষ্টাব্দের তুলনায় ২০২৩-২৪ খ্রিষ্টাব্দে পদ্মা সেতুতে যানবাহন চলাচল ও টোল আদায় উভয় বৃদ্ধি পেয়েছে। পদ্মা সেতু চালুর পর থেকে দেশের দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের যাতায়াত সহজ হয়েছে। এখন ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে বরিশালে যাওয়া যাচ্ছে তিন থেকে চার ঘণ্টায়। খুলনায় চার ঘণ্টায় পৌঁছে যাচ্ছে মানুষ। বহু কাঙ্ক্ষিত এ সেতু তৈরিতে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে নানা জটিলতার পর দেশীয় অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করা হয়। এই প্রকল্পের মূল দুই ঠিকাদার চীনের। পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ছিল দক্ষিণ কোরিয়ার।
সেতুটি তৈরিতে ব্যবহৃত মালামালের ৯০ শতাংশই বিদেশ থেকে কেনা। অর্থ মন্ত্রণালয় যে টাকা বিনিয়োগ করেছে, এর বেশির ভাগই ঠিকাদার ও পরামর্শকদের বিল বাবদ ডলারে পরিশোধ করা হয়েছে। দেশের বৃহত্তম এই সেতু চালু হওয়া থেকে ২৪ জুন রাত ১২টা পর্যন্ত ১ হাজার ৬৪৮ কোটি ৭৬ লাখ ১৮ হাজার ৩০০ টাকা টোল আদায় হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০২২ খ্রিষ্টাব্দের ২৫ জুন পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা বহুমুখী সেতু উদ্বোধনের পর থেকে দক্ষিণ এবং পশ্চিমাঞ্চলের ২৩ জেলার সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। উদ্বোধনের পরের দিন ২৬ জুন থেকে যানবাহন পারাপারের জন্য সেতুটি খুলে দেওয়া হয়।