ঈদুল ফিতর আর শবে কদর মিলে এবার ঈদে ছুটি ছিল পাঁচ দিন। এ সময় পদ্মা সেতু দিয়ে ১ লাখ ৫৪ হাজার ২৮৬টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে ১৫ কোটি ৫৪ লাখ ৯ হাজার ৪৫০ টাকা। এরমধ্যে মোটরসাইকেল থেকে শুরু করে সবধরনের যানবাহন ছিল।
বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের ওয়েবসাইট সূত্র বলছে, পারাপার হওয়া যানবাহনের মধ্যে মাওয়া প্রান্ত থেকে সেতু পাড়ি দিয়েছে ৯৩ হাজার ৫৭৯টি আর জাজিরা প্রান্ত থেকে পাড়ি দিয়েছে ৬০ হাজার ৬৮৯টি যানবাহন।
এদিকে বিশৃঙ্খলার কারণে পদ্মা সেতুতে যান চলাচলের শুরুর পরদিন বন্ধ করা হয় মোটরসাইকেল পারাপার। সাড়ে ৯ মাস পর প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ২০ এপ্রিল থেকে আবারও সেতুতে শর্তসাপেক্ষে মোটরসাইকেল চলাচল শুরু করে। এ অনুমতি ছিল দক্ষিণবঙ্গের মোটরসাইকেল আরোহীদের জন্য বিশেষ ঈদ আনন্দ। প্রথম দিন থেকে প্রতিদিনই মোটরসাইকেলের ঢল ছিল সেতুতে।
সেতু বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক আমিরুল হায়দার চৌধুরী বলেন, মোট পারাপার হওয়া মোটরসাইকেলের মধ্যে মাওয়া থেকে পার হয়েছে ৪৭ হাজার ৭০৯টি ও জাজিরা থেকে পার হয়েছে ২৯ হাজার ৮২০টি। মোটরসাইকেল পারাপারে ১০০ টাকা হিসাবে প্রথম ছয়দিনে টোল আদায় হয়েছে ৭৭ লাখ ৫২ হাজার ৯০০ টাকা।
এদিকে বিপুল পরিমাণ মোটরসাইকেল পারাপারে কোনো দুর্ঘটনা ছিল না। তবে বিশৃঙ্খলার কারণে জরিমানার আওতায় আনা হয় ৫৭ মোটরসাইকেল আরোহীকে। ৩ হাজার টাকা করে আদায় করা হয় ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা।
এ বিষয়ে মুন্সিগঞ্জ ট্রাফিক পুলিশের ইন্সপেক্টর (টিআই) বজলুর রহমান বলেন, যারা প্রয়োজনের তাগিদে সেতু পার হচ্ছে তারা নিয়ম মানছে। তবে যারা ঘোরার জন্য, উৎসাহী হয়ে অপ্রয়োজনে আসছে তারাই নিয়ম লঙ্ঘন করছে। সেতুতে ঈদযাত্রায় ৬০ চালককে জরিমানা করা হয়। এরমধ্যে ৫৭ জন মোটরসাইকেলচালক।