পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি) সব ধরনের রাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বুধবার পবিপ্রবির রেজিস্ট্রার কার্যালয়ের এক অফিস আদেশের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সব প্রকার রাজনৈতিক সংগঠন ও এর কার্যকলাপের সঙ্গে সম্পৃক্ততা সম্পূর্ণরুপে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। উক্ত ঘোষণাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. এস. এম. হেমায়েত জাহানের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হয়।
দেশজুড়ে যখন স্বৈরাচার সরকার তাদের মদদপুষ্ট কর্মীদের নিয়ে দেশে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে তখন দেশে ত্রাতা হয়ে দেখা দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা। শুরুতে তারা কোটা সংস্কারের জন্যে মাঠে নামলেও আজ তারা দেশ সংস্কারের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব হাতে নেয়। সরকার পতনের পর থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চলে সংস্কার কাজ। দেখা যায় পদত্যাগ ও ছাটাই অভিযান।
এই সংস্কারে পিছিয়ে নেই পবিপ্রবির বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা। তারা বিভিন্ন বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক পরিস্থিতি শিক্ষার্থী বান্ধব করার প্রত্যয়ে দাবি-দাওয়া তুলে ধরতে শুরু করেন পবিপ্রবিতে সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. এস. এম. হেমায়েত জাহানের কাছে। এরই ধারাবাহিকতায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে সকল রকমের রাজনৈতিক কর্মকান্ড নিষিদ্ধ করার দাবি জানায়।
ফলে পবিপ্রবি আইনের ধারা ৪৭ (৫) মোতাবেক এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সকল ধরনের রাজনৈতিক সংগঠন এবং এর কার্যকলাপের সঙ্গে সম্পৃক্ততা সম্পূর্নরুপে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয় এবং এই অফিস আদেশের মধ্য দিয়ে পবিপ্রবিতে সকল রকমের রাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষিত হয়েছে।