পরীক্ষামূলক আইবাস ডাবল প্লাস সফটওয়্যারের ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফারে (ইএফটি) বেতন পেয়েছেন এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ২০৯ শিক্ষক। সম্প্রতি মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) উপপরিচালক মো. শাহজাহান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে সেপ্টেম্বর মাসের চেক ছাড় হয়। বিজ্ঞপ্তিতে দেখা যায়, ইএফটিতে বেতন পাওয়াদের মধ্যে এমপিওভুক্ত স্কুলে কর্মরত ১০৪ জন ও কলেজে কর্মরত ১০৫ জন শিক্ষক কর্মচারী রয়েছেন।
এদিকে ইএফটি চালুর ফলে এমপিও শিক্ষক-কর্মচারীদের প্রায় চার দশকের ভোগান্তির অবসান ঘটতে যাচ্ছে। তবে, দৈনিক আমাদের বার্তার অনুসন্ধানে জানা যায়, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের কয়েকজন সাবেক মহাপরিচালক, ফিনান্স পরিচালক ও সাধারণ প্রশাসন শাখার উপপরিচালক ও সহকারি পরিচালকদের সঙ্গে এমপিওর টাকা বিতরণকারী ব্যাংকগুলোর কর্মকর্তাদের যোগসাজসে ইএফটির উদ্যোগ আটকে ছিলো। বেতন দেরিতে ছাড় হলে ব্যাংকের আর্থিক লাভ। সেখান থেকে কিছু অবৈধ সুবিধা পেতেন শিক্ষা অধিদপ্তরগুলোতে কর্মরত শিক্ষা ক্যাডারের কিছু কর্মকর্তা। এছাড়া পলাতক দুর্নীতিবাজ শিক্ষক নেতা শাহজাহান সাজুসহ কয়েকজন বেসরকারি শিক্ষক নেতাও চাননি ইএফটি হোক। তারাও শিক্ষা অধিদপ্তর ও ব্যাংক থেকে নানা সুবিধা পেতেন।