ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশে বোর্ড অব ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষায় একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করার পর ৯ জন শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে। আরও দুই শিক্ষার্থী আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে বলে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি শনিবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রায় ১০ লাখ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। একাদশ শ্রেণীতে পাসের হার ছিল ৬১ শতাংশ সতাংশ দ্বাদশ শ্রেণীতে ৭২ শতাংশ।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, শ্রীকাকুলাম জেলায় একটি ১৭ বছর বয়সী এক শিক্ষার্থী ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। ডান্ডু গোপালপুরম গ্রামের বাসিন্দা ওই শিক্ষার্থী ইন্টারমিডিয়েট প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিলেন। ওই শিক্ষার্থী বেশিরভাগ বিষয়ে ফেল করার পরে হতাশ ছিল বলে জানা গেছে।
অন্যদিকে মালকাপুরম থানার সীমানার অন্তর্গত ত্রিনাধাপুরমে ১৬ বছর বয়সী এক মেয়ে তার বাড়িতে আত্মহত্যা করেছে। মেয়েটি বিশাখাপত্তনম জেলার বাসিন্দা। ইন্টারমিডিয়েট প্রথম বর্ষের কিছু বিষয়ে ফেল করার পর মেয়েটি এই সিদ্ধান্ত নেয়।
বিশাখাপত্তনমের কাঞ্চরাপালেম এলাকায় নিজের বাসভবনে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আরেকজন ১৮ বছর বয়সী শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে। তিনি ইন্টারমিডিয়েট দ্বিতীয় বর্ষে একটি বিষয়ে ফেল করেছিলেন।
অন্ধ্রপ্রদেশের চিত্তুর জেলার ১৭ বছর বয়সী দুই শিক্ষার্থী এপি ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষায় ফেল করায় আত্মহত্যা করেছে।
ওই জেলার আরেক ছাত্রী হ্রদের পানিতে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। একই জেলায় আরেক ছেলে আত্মহত্যা করেছে কীটনাশক পান করে।
আনাকাপল্লীতে নিজের বাসভবনে ১৭ বছর বয়সী আরেক ছাত্র ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে। ইন্টারমিডিয়েট প্রথম বর্ষে কম নম্বর পাওয়ায় তিনি হতাশ হয়ে পড়েছিলেন বলে জানা গেছে। অন্যরা বিভিন্ন উপায়ে নিজেদের জীবন শেষ করে দিয়েছে।
ভারতের প্রিমিয়ার কলেজগুলোতে আত্মহত্যার খবরের মধ্যেই এই ঘটনা সামনে এলো। চলতি বছর ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির (আইআইটি) বিভিন্ন ক্যাম্পাসে সন্দেহভাজন আত্মহত্যায় চার ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে।
ফেব্রুয়ারিতে ভারতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় ছাত্রদের আত্মহত্যার ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছিলেন, ‘আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলো কোথায় ভুল করছে যে শিক্ষার্থীরা তাদের জীবন নিতে বাধ্য হচ্ছে।