দৈনিক শিক্ষাডটকম, ঢাবি : নির্ধারিত সময় থেকে দুদিন সময় বৃদ্ধির পর শনিবার আনুষ্ঠানিকভাবে এবারের অমর একুশে বইমেলার পর্দা নামছে। মেলার শেষ দুদিন সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় পাঠক-দর্শনার্থীদের ভিড়ও ছিলো লক্ষণীয়। নির্ধারিত সময় থেকে অতিরিক্ত দু’দিন বেশি পাওয়াসহ বই বিক্রির ধারা অব্যাহত থাকায় প্রকাশক-বিক্রয়কর্মীরা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন ।
শুক্রবার বিকেলে বইমেলার সোহরাওয়ার্দী প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা যায়, অন্যান্য ছুটির দিনগুলোর মতোই মেলার মূল ফটকগুলোতে সমান তালে ভিড় ঠেলে ভেতরে প্রবেশ করছে পাঠকরা। নিজের পছন্দের বই কিনতে প্রায় প্রতিটা স্টলেই ঢুঁ মারতে দেখা গেছে বইপোকা দর্শনার্থীদের ।
সন্দীপন প্রকাশনীতে বই কিনতে আসা অর্ণব আজাদের সাথে কথা হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই শিক্ষার্থী জানায়, এবারের বইমেলা থেকে বেশ কয়েকটা বই কিনেছেন তিনি। আজও তার নিজের পছন্দের লেখকের বই কিনতে এই প্রকাশনীতে এসেছেন।
কথা হয় একই প্রকাশনীর বিক্রয়কর্মী মহিউদ্দিনের সাথে। তিনি বলেন, মেলার শেষ দুদিনেও বেশ বিক্রি হচ্ছে। আমাদের প্রকাশনী ইসলামিক বইয়ের জন্য প্রসিদ্ধ। ধর্মীয় বইয়ের চাহিদা বেশি থাকায় বিক্রি অনেক বেশি । আশপাশের অনেক স্টলের তুলনায় এ স্টলে অনেক বেশি বই বিক্রি হচ্ছে।
কোন ধরণের বইগুলো বেশি বিক্রি হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মূলত আমাদের বইগুলোর লেখকদের পরিচিত বিস্তর। বিশেষত বিশ্ববিদ্যালয়-কলেজের শিক্ষার্থীরাই আমাদের বইগুলোর মূল পাঠক। ডাবল স্ট্যান্ডার্ড, মিশন: ইসলামসহ এ জাতীয় বইগুলোই বেশি বিক্রি হচ্ছে।
প্রথমা প্রকাশনীর বিক্রয় কর্মী মেহেদী হাসান মিলু বলেন, মেলার প্রথম সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোর তুলনায় বিক্রি কিছুটা কম বলা চলে। তবে এখনো বিক্রি ভালো হচ্ছে। কোন কোন বইগুলো বেশি বিক্রি হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সর্বোচ্চ বিক্রীত তিনটি বইয়ের নাম বলতে বললে যে তিনটি বইয়ের নাম আসবে, সেগুলো হলো- আনিসুল হক স্যারের ‘কখনো আমার মাকে’, আসিফ নজরুল স্যারের ‘আমি আবু বকর বলছি’ ও আনু মোহাম্মদ স্যারের ‘অর্থশাস্ত্র’ ।
পুঁথিনিলয় পাবলিকেশনের বিক্রয়কর্মী সুলতান মাহমুদ শুভ বলেন, বেচাবিক্রি কিছুটা থেমে থেমে চললেও চলছে। নতুন লেখকদের সাথে তাল মিলিয়ে পুরাতন লেখকদের বইও বিক্রি হচ্ছে। বইমেলার শেষের দিনগুলোতে দর্শনার্থী থেকেও বই কিনতে আসা বইপ্রেমীদের সংখ্যা বেড়েছে বলে মনে করেন এই বিক্রয়কর্মী ।