পাকিস্তানে ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে আয়োজিত জশনে জুলুছে আত্মঘাতী বোমা হামলায় অন্তত ৫২ জন নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) এ ঘটনায় আহত হয়েছেন প্রায় দেড়শ মানুষ।
বেলুচিস্তানের মাস্তুং জেলার স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (ডিএইচও) আবদুর রাজ্জাক শাহি হতাহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। আর নিহতদের মধ্যে একজন পুলিশ কর্মকর্তা থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেন সিটি স্টেশন হাউজ অফিসার (এসএইচও) মোহাম্মদ জাভেদ লেহরি।
এ ঘটনায় শুরুতে শহীদ নবাব ঘৌস বখশ রাইসানি মেমোরিয়াল হাসপাতালের প্রধান নির্বাহী ডা. সাঈদ মিরওয়ানি বলেছিলেন, হামলায় ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ১৩০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন।
ডা. সাঈদ মিরওয়ানি বলেন, এ পর্যন্ত ২৮টি মরদেহ হাসপাতালে আনা হয়েছে। ছয়জনকে মাস্তুং জেলা হাসপাতালে নেয়া হয়ছে। কয়েক ডজন আহতদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এছাড়া ২০ জনের বেশি আহত ব্যক্তিকে চিকিৎসা সহায়তার জন্য কোয়েটায় রেফার করা হয়েছে।
এর আগে জেলার সহকারী কমিশনার (এসি) আত্তাহুল মুনিম বলেন, বিস্ফোরণে ১৫ জন নিহত এবং ৫০ জনের বেশি আহত হয়েছেন।
এ এসি জানান, আলফালাহ রোডে মদিনা মসজিদের কাছে ঈদে মিলাদুন্নবীর মিছিলে মানুষজন জড়ো হওয়ার সময় বিস্ফোরণ ঘটে।
তিনি আরও জানান, ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট অব পুলিশ (ডিএসপি) নওয়াজ গিশকোরির গাড়িতে হামলা চালানো হয়। হামলার সময় তিনি মিছিলের পাশে ছিলেন।
এ ঘটনায় বেলুচিস্তানের অন্তর্বর্তীকালীন তথ্যমন্ত্রী জান আচাকজাই বলেন, ঘটনাস্থলে উদ্ধারকারী দল পাঠানো হয়েছে। গুরুতর আহত ব্যক্তিদের কোয়েটায় স্থানান্তর করা হচ্ছে এবং সব হাসপাতালে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে।
তিনি হামলাটিকে ‘অসহনীয়’ উল্লেখ করে বলেন, শত্রুরা বেলুচিস্তানে ধর্মীয় সহনশীলতা ও শান্তি বিনষ্ট করতে চায়। এ ঘটনায় তত্ত্বাবধায়ক মুখ্যমন্ত্রী আলি মর্দান ডোমকি হামলায় জড়িতদের গ্রেফতার করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন কর্তৃপক্ষকে।
সূত্র : ডন