পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) নির্মাণাধীন একটি ছাত্রাবাসে কাজ করার সময়ে দড়ি ছিঁড়ে পড়ে দুইজন নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় আরও একজন আহত হন। তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৫ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন শেখ হলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- চাঁপাইনবাবগঞ্জের বাগানপাড়া চর বাসুদেরপুর গ্রামের আজিজুর রহমানের ছেলে তুহিন হোসেন (২৫) ও রাজশাহীর গোদাগাড়ি উপজেলার বিগ্রাম ঘন্টি গ্রামের মৃত মজিবুর রহমানের ছেলে আসাদুল আলী (৩৫)।
আহত ব্যক্তি চাঁপাইনবাবগঞ্জের চর অনুপনগর পশ্চিমপাড়া গ্রামের নয়ন আলীর ছেলে রবিউল আওয়াল (৩০)। তারা সবাই এনএন হুদা কনস্ট্রাকশন লিমিটেডের অধীনে কাজ করতেন।
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. কামাল হোসেন জানান, শুক্রবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্মাণাধীন শেখ রাসেল হলের বাইরের অংশে শ্রমিকেরা দড়ি ঝুলিয়ে প্লাস্টারের কাজ করছিলেন। এ সময় আকস্মিকভাবে দড়ি ছিঁড়ে নিচে পড়ে যায় ৩ জন নির্মাণ শ্রমিক। গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের স্থানীয়রা পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ১ জনকে মৃত ঘোষণা করেন। বাকি দুজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার সময় আরও একজন মারা যায়।
তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছুটির দিনে আমি ক্যাম্পাসে ছিলাম না। দুপুর সাড়ে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছি। বিস্তারিত ঘটনাস্থলে যাওয়ার পর বলতে পারবো।
পাবনা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। আহত শ্রমিক রাজশাহীতে চিকিৎসাধীন। ঘটনা তদন্ত করে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন বলেন, ঘটনাটি দুঃখজনক। বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেকগুলো কনস্ট্রাকশনের কাজ চলছে। প্রকল্পে তাদের নিরাপত্তা বজায় রেখে কাজ করতে বলা হয়েছে। কিন্তু তারপরও কীভাবে ঘটনাটি ঘটলো আমরা তদন্ত করে দেখবো।
প্রসঙ্গত, ঠিকাদারের গাফিলতিতে এ নিয়ে নির্মাণের সময় অন্তত ১৫ জন শ্রমিকের প্রাণ গেল পাবিপ্রবিতে।