খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও হামলার প্রতিবাদে বান্দরবানে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
আজ শুক্রবার বেলা ১১টায় রাজার মাঠে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেন বান্দরবানের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের হাজারো শিক্ষার্থী।
ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড নিয়ে ‘বান্দরবানের সম্মিলিত আদিবাসী ছাত্র সমাজ’ ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল করে প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান নেন তাঁরা। সেখানে সংক্ষিপ্ত বিক্ষোভ সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় বক্তব্য দেন অংশৈসিং মারমা, মাখিং মারমা, জন ত্রিপুরা, হিরো খেয়াং ও বিটন তংচংগ্যা।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ‘অন্যায়ের প্রতিবাদ করলে, আদিবাসীদের অধিকার আদায়ে কথা বললে আমাদেরকে সন্ত্রাসী আখ্যা দেয়া হয়। সম্প্রতি খাগড়াছড়িতে দীঘিনালা একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে উগ্রপন্থী কিছু সেটেলারের উস্কানিতে পাহাড়িদের ঘর-বাড়ি, দোকানপাটে অগ্নিসংযোগ ও হামলা করা হয়েছে। যারা এসব ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে তাদেরকে আইনে আওতার আনার জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানাই।’
বক্তারা আরও বলেন, ‘ছাত্রদের অভ্যুত্থানে মধ্য দিয়ে দেশ স্বাধীন হলেও পাহাড়ে কিছু সেটেলারের কারণে রক্তক্ষয়ী সংঘাতের ঘটনা ঘটেছে। স্বাধীনতার ৫৪ বছরেও পাহাড়ের মানুষদের হামলার শিকার হতে হয়েছে। আমাদের দেয়ালের পিঠ ঠেকে গেছে। আমাদের আর ঘরে বসে থাকার সুযোগ নেই।’
ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের বিচারের দাবি জানান বক্তারা। একই সঙ্গে আগামীতে ঢাকা অভিমুখে লংমার্চে যাওয়ার ঘোষণা দেন তাঁরা।