পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন জেলায় সংঘটিত সসহিংসতা ও নিপীড়নের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাস্কর্য চত্বরে এ সমাবেশ করেন তারা। এতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত পার্বত্য চট্টগ্রামের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।
শিক্ষার্থীরা বলেন, আমাদের পাহাড়ি ভাইয়েরা অধিকার আদায়ের কথা বললে যদি তাদেরকে বিচ্ছিন্নতাবাদী ট্যাগ দেয়া হয় তবে কখনো ইনসাফ নিশ্চিত হবে না। আজ আমরা তাদের নাগরিক অধিকারের জন্য না দাঁড়ালে কাল আমাদের নাগরিক অধিকারও হরণ হবে। আমরা তাদের আদিবাসী বলে স্বীকার করিনি। ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী বলে হীনমন্যতায় রেখেছি। নাগরিক অধিকার চাইলে কেউ বিচ্ছিন্নতাবাদী বা দুষ্কৃতকারী হয় না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী কৌশিক সাম্য বলেন, আজ পাহাড়ে যা হচ্ছে কাল যে সমতলে হবে তার গ্যারান্টি কি! শুধু জাতিসত্তার পরিচয় আলাদা বলে তাদের ওপর রাষ্ট্রের অত্যাচারের প্রতিবাদ না করি তাহলে রাষ্ট্র আমাদের ওপর অত্যাচার চালাবে। আমরা সমতলে ও পাহাড়েও জনগণের প্রতিনিধিত্ব চাই। সেনাশাসন চাই না। নাগরিক ঐক্যই পারে সব জুলুম সরিয়ে দিতে।
ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী এঞ্জেল চাকমা বলেন, আজ আমরা হতাশ কারণ পাহাড়ে ঘটা জুলুম ও অগ্নিকাণ্ড হওয়ার পরও মানুষ চুপ। অনেকেই বলছে পাহাড়ের মানুষ বিচ্ছিন্নতাবাদী। মুক্তিযুদ্ধের সংগ্রামে কি তাদের রক্ত নেই? প্রত্যেক সরকার আমাদের বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে। কিন্ত আমরা সম্পৃক্ততায় বিশ্বাসী। পার্বত্য চট্টগ্রাম কখনো আলাদা রাষ্ট্র হতে চায়নি, আর ভবিষ্যতেও চাইবে না। বাংলাদেশী হিসেবে আমরা এই ভরসা নিয়ে বাঁচতে চাই যে, একদিন এদেশের মানুষের পাহাড়কে দেখার চিন্তায় পরিবর্তন হবে। আপনারা এক পাক্ষিক না দেখে শান্তি চুকি পরুন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।