পা ধরে ক্ষমা চেয়ে পদত্যাগে বাধ্য করা চার শিক্ষককে ফেরালেন শিক্ষার্থীরা - দৈনিকশিক্ষা

পা ধরে ক্ষমা চেয়ে পদত্যাগে বাধ্য করা চার শিক্ষককে ফেরালেন শিক্ষার্থীরা

দৈনিক শিক্ষাডটকম, ঠাকুরগাঁও |

ঠাকুরগাঁওয়ে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চারজন শিক্ষককে পদত্যাগে বাধ্য করায় এক দল শিক্ষার্থী।সেই ঘটনার চার দিনের মাথায় ফের সেই চার শিক্ষককে ফিরিয়ে এনে তাদের চেয়ার বসিয়েছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

এ সময় ফুলের মালা দিয়ে তাদের বরণ করে নেওয়া হয়। শিক্ষকদের পা ধরে ক্ষমাও চায় শিক্ষার্থীরা। এ সময় শিক্ষকরাও আবেগাপ্লুত হয়ে শিক্ষার্থীদের জড়িয়ে ধরেন, কোলাকুলি করেন।

বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার গড়েয়া ইউনিয়নের চখমিল বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।  শিক্ষকদের ফিরিয়ে আনা ও সম্মান দেখানোয় ওই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ব্যাপক প্রশংসিত হচ্ছে এখন।

বিদ্যালয়ে ফেরানো চার শিক্ষক হলেন - প্রধান শিক্ষক মো. সেলিম উদ্দীন, সহকারী শিক্ষক মো. ইয়াছিন আলী, মো. নুরে আলম এবং শরণ শিং।

জানা যায়, চখমিল বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ভুল বুঝিয়ে গত ২৫ আগস্ট (রোববার) দুপুরে ওই চারজন শিক্ষককে জোরপূর্বক পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর করিয়ে নেওয়া হয়।  এ খবর ছড়িয়ে পড়লে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিন্দা জানিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীরাসহ বিভিন্ন স্তরের মানুষ। মঙ্গলবার সকালে তারা বিদ্যালয় মাঠে সমবেত হয়ে প্রিয় শিক্ষকদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফেরাতে বিক্ষোভ মিছিল করেন। পরে শিক্ষকদের সম্মানের সহিত বরণ করে নিয়ে ফের তাদের বিদ্যালয়ে ফেরানোর সিদ্ধান্ত হয়।  

এর প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় প্রাইভেটকারে করে শিক্ষকদের বিদ্যালয়ে নিয়ে আসা হয়। পরে ফুলের মালা দিয়ে তাদের বরণ করে নেওয়া হয়। এ সময় শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের পা ধরে ক্ষমা চায়। এতে কান্নার রোল পড়ে যায় সেই বিদ্যালয় মাঠে।শিক্ষার্থীরা জানায়, রাজনৈতিক কিছু নেতা তাদের ভুল বুঝিয়ে এই কাজ করিয়েছে।

 

অধ্যক্ষের অনুপস্থিতিতে শিক্ষকদের বেতন সভাপতির একক স্বাক্ষরে - dainik shiksha অধ্যক্ষের অনুপস্থিতিতে শিক্ষকদের বেতন সভাপতির একক স্বাক্ষরে জোর করে পদত্যাগ, ভালো নেই স্ট্রোক করা সেই অধ্যক্ষ - dainik shiksha জোর করে পদত্যাগ, ভালো নেই স্ট্রোক করা সেই অধ্যক্ষ বরিশালে থানায় শিক্ষার্থীদের হামলা-ভাঙচুর - dainik shiksha বরিশালে থানায় শিক্ষার্থীদের হামলা-ভাঙচুর হাজিরা মেশিন কাজে আসেনি ১৬৯ বিদ্যালয়ে, গচ্চা ৩৭ লাখ টাকা - dainik shiksha হাজিরা মেশিন কাজে আসেনি ১৬৯ বিদ্যালয়ে, গচ্চা ৩৭ লাখ টাকা পদ্মার ভাঙনে বিলীনের শঙ্কায় দুই স্কুল - dainik shiksha পদ্মার ভাঙনে বিলীনের শঙ্কায় দুই স্কুল কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0036640167236328