যশোরে ফিলিং স্টেশন বা পেট্রোল পাম্প মনিটরিংয়ের সময় একটি পাম্পে মিটার মেশিনে কারচুপি হাতেনাতে ধরেছে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে শিক্ষার্থীদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বিএসটিআইয়ের কর্মকর্তারা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে সরজমিনে ওই পেট্রোল পাম্পে অভিযান চালিয়ে তেল বিক্রিতে ভোক্তাদের সঙ্গে প্রতারণার সত্যতা পায়। এরপর রজনীগন্ধা ফিলিং সেন্টারের অকটেন, পেট্রোল, ডিজেল, ডিসপেন্সিং ইউনিট (ডিজিটাল মিটার মেশিন) সিলগালা করেন বিএসটিআইয়ের কর্মকর্তারা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন যশোরের অন্যতম নেতৃত্বদানকারী মাসুম বিল্লাহ ও জেসিনা মুর্শীদ প্রাপ্তি বলেন, জ্বালানি তেলের নতুন দাম নির্ধারণ এবং তা কার্যকরের নির্দেশ ঘোষণার পর গত পহেলা সেপ্টেম্বর থেকে তাদের নেতৃত্বে একদল শিক্ষার্থীদের নিয়ে সরেজমিনে যশোরের বিভিন্ন পেট্রোল পাম্প তদারকির সময় রজনীগন্ধা ফিলিং সেন্টারে তেল বিক্রিতে কারচুপি দেখতে পান তারা। এরপর সোমবার সকালে বিএসটিআই’র উপ-পরিচালক প্রকৌশলী আসলাম শেখকে বিষয়টি অবগত করেন। তৎক্ষণিক বিএসটিআইয়ের কর্মকর্তারা শিক্ষার্থীদের নিয়ে সরজমিনে রজনীগন্ধা ফিলিং সেন্টারে অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় ওই পেট্রোল পাম্পে ডিজিটাল মিটার মেশিনের প্রতি ১০ লিটার অকটেনে ১৫০ মিলি কম এবং প্রতি ১০ লিটার পেট্রোলে ৬০ মিলি কম প্রদান ও প্রতি ১০ লিটার ডিজেলে বিক্রিতে এক হাজার ২০ মিলি কম তেল দিয়ে ভোক্তাদের সঙ্গে প্রতারণার সত্যতা পায়।
প্রতারণার দায়ে ওই পাম্পের অকটেন, পেট্রোল, ডিজেল, ডিসপেন্সিং ডিজিটাল ইউনিট (মেশিন) সিলগালা করেছেন বিএসটিআইয়ের কর্মকর্তারা। এ সময় জেলা বিএসটিআইয়ের ইন্সপেক্টর মো. রাকিব ইসলাম এবং ফিল্ড অফিসার খালেদ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
বিএসটিআই’র উপ-পরিচালক প্রকৌশলী আসলাম শেখ বলেন, শিক্ষার্থীরা আমাদের জানালে তাদের সঙ্গে নিয়ে রজনীগন্ধা ফিলিং সেন্টারে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় ওই পাম্পের ডিজিটাল মেশিনে ত্রুটি ও প্রতারণার সত্যতা পাওয়ায় ওই পাম্পের ৩টি মেশিন সিলগালা করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, পেট্রোল পাম্প মনিটরিংয়ে শিক্ষার্থীদের শতভাগ সহযোগিতা করা হবে। তারা যখনই অসঙ্গতি পাবে আমাদের জানালে আমরা তৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেব।