সর্বজনীন পেনশনের ‘প্রত্যয়’ স্কিমে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দে অন্তর্ভুক্ত করার যে তথ্য দেয়া হয়েছে, তা ভুল বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। শিক্ষকদের পেনশন স্কিমে অন্তর্ভুক্তির কার্যকারিতা ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দের ১ জুলাই থেকে।
শনিবার (১৩ জুলাই) রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি একথা জানান।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দের ১ জুলাইতে শিক্ষকদের পেনশন স্কিমের কার্যকারিতা শুরু হবে। ইতিপূর্বে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দের যে তথ্য দেয়া হয়েছে তা সঠিক নয়।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী সংসদে যে তথ্যটি দিয়েছিলেন ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দে স্কিমটি শুরু হবে এটা ভুল ছিলো, সবার পেনশন স্কিমে অন্তর্ভুক্ত করা হবে ১ জুলাই ২০২৫। এটা তাদেরকে পরিষ্কারভাবে বলেছি।
শিক্ষকদের সুপার গ্রেড প্রদানের বিষয়টি আলোচনা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষকদের মর্যাদা ও লিখিত দাবিনামা সরকারের উচ্চ পর্যায়ে উত্থাপন করবো। পরবর্তীতে আরও আলোচনা করে আমরা সিদ্ধান্ত নিবো। আশা করি সমাধান আসবে।
এসময় তিনি শিক্ষকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার করার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, শিক্ষকরা বলেছেন, ফেডারেশনের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত জানাবেন।
বৈঠকে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের মহাসচিব অধ্যাপক নিজামুল হক ভূঁইয়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জিনাত হুদা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আব্দুর রহিমসহ ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল যোগ দেন।
এছাড়া আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সামসুন্নাহার চাঁপা, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী বিপ্লব বড়ুয়াও উপস্থিত ছিলেন।