লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেননি। এক লাখ টাকায় ভাড়া করেছিলেন অন্য ব্যক্তিকে। উত্তীর্ণও হয়ে যান। কিন্তু মৌখিক পরীক্ষা দিতে এসে ঘটল বিপত্তি। ধরা পড়ে যান অবশেষে। জালিয়াতি করা ওই ব্যক্তির নাম মো. নিজাম উদ্দিন (২৮)। তাকে আজ শনিবার কোতোয়ালি থানা-পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন।
জেলা প্রশাসন কার্যালয় সূত্র জানায় মো. নিজাম উদ্দিন জেলা পরিবার পরিকল্পনা চট্টগ্রাম কার্যালয়ের পরিবার পরিকল্পনা সহকারী পদে নিয়োগের জন্য আবেদন করেছিলেন। গতকাল জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়। পরীক্ষায় অংশ নিতে আসেন নিজাম উদ্দিন। কিন্তু লিখিত পরীক্ষার উত্তরপত্রের লেখার সঙ্গে তার হাতের লেখার মিল খুঁজে পাননি মৌখিক পরীক্ষা বোর্ডের সদস্যরা। এমনকি লিখিত পরীক্ষার প্রশ্নের উত্তরও তিনি দিতে পারেননি। এ ছাড়া লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার হাজিরা খাতার স্বাক্ষরে মেলেনি। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন পরীক্ষকেরা।
নিজাম উদ্দিনের বাড়ি মিরসরাই উপজেলার তারাকাটিয়া গ্রামে। তার পিতা ওবাইদুল হক, মা আনোয়ারা বেগম। তার বিষয়ে জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার মিল্টন বিশ্বাস বলেন, ১৮ নভেম্বর লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ওই পরীক্ষায় অংশ না নেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন নিজাম উদ্দিন।
তার পরিবর্তে অন্য এক ব্যক্তি অংশ নেন। আর এক লাখ টাকায় পুরো ব্যবস্থাটি করে দেন মিরসরাইয়ের বাসিন্দা লিটন চন্দ্র দাস। তাই পরীক্ষায় প্রতারণার দায়ে নিজামকে কোতোয়ালি থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।