প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘরে থাকছেন না তারা - দৈনিকশিক্ষা

প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘরে থাকছেন না তারা

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি |

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে দেয়া প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেলেও সেখানে বসবাস করছেন না অনেক সুবিধাভোগীরা। বিদ্যুৎ,পানিসহ বিভিন্ন সুবিধা দেয়া হলেও ঘরে বসবাস না করে খড় রাখাসহ অন্যান্য কাজে ব্যবহার করছেন তারা। এমনকি বরাদ্দ নিয়ে অনেকে ঘরগুলোকে তালাবদ্ধ রাখছেন মাসের পর মাস। ঘর ব্যবহার না করা এসব ঘর নতুন করে অন্য ভূমিহীনদের নামে বরাদ্দ দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রাফিউল ইসলাম। 

চিলমারী উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় ভূমি ও গৃহহীনের সংখ্যা ছিলো ৮৩১। প্রত্যেককে প্রকল্পের আওতায় ৪ দফায় প্রধানমন্ত্রীর উপহারের এসব ঘর দেয়া হয়।

রমনা মডেল ইউনিয়ন ভূমি অফিসের তথ্যমতে, প্রকল্পের আওতায় উপজেলার রমনা মডেল ইউনিয়নে ১৪৮টি ঘর গৃহহীনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এর মধ্যে ওই ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডে ঘর বরাদ্দ পেয়েছেন অর্ধশতাধিক পরিবার। ওয়ার্ডটির সাববাঁধ ডাঙার চর এলাকায় সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায় অনেক সুবিধাভোগী ঘর বরাদ্দ নিয়ে খড় রাখাসহ অন্যান্য কাজে ব্যবহার করছেন।

ঘরের বরাদ্দ পাওয়া ডাঙার চরের শুকুর আলীর ঘরে তালা ঝুলছে। পাশেই বরাদ্দ পেয়েছেন সাইদুল ইসলাম। তিনিও ঘর বরাদ্দ নিয়ে খড়ের ঘর করে রেখেছেন, থাকছেন পুরাতন টিনের ঘরেই। একইভাবে ঘর ব্যবহার করছেন মনোয়ারুল ইসলাম। তিনিও পুরাতন ঘরে থাকছেন। জহুরুল ইসলাম নামে আরেকজন ঘর বরাদ্দ নিলেও তা তালাবদ্ধ রেখে থাকছেন চরে। এছাড়া ওই এলাকার ছকিনা বেগম নামে আরেকজন ঘর বরাদ্দ পেয়েছেন। তিনিও উপহারের ঘরটিকে খড়ের ঘর করে রেখেছেন, থাকছেন তার সন্তানের বাড়িতে। তিনি নিজ নামে ঘর নিলেও ওই ঘরে থাকবেন তার মেয়ে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বেলকা ইউনিয়নের কারেন্টবাজার এলাকার বাসিন্দা আলিজান বেগম।

এছাড়া আর্থিকভাবে স্বচ্ছল হাফিজুর রহমান, মিন্টু মিয়া, দুখু মিয়া, আলম মিয়া, চান মিয়া, আমজাদ হোসেন, সাদাকাত হোসেন, নায়েব আলী, আনছার আলী, আইয়ুব আলীরা ঘর পেলেও বরাদ্দ মেলেনি ওই ওয়ার্ডের ভূমিহীন ডাঙ্গার চর এলাকার আঙ্গুর মিয়া, আব্দুল মতিন, পাঁচগ্রাম এলাকার সৈয়দ আলী, জেলেখা বেগম, মোস্তফা আলী, তেলিপাড়া এলাকার আমিরন বেগম, লতিফা বেগম, কুরশারপাড় এলাকার বাদশা মিয়া, মোনারুল ইসলামসহ অনেকেরই।  ঘর না পাওয়া এসব ভূমিহীনদের অভিযোগ, মাথা গোঁজার ঠাই না থাকলেও তাদের নামে ঘর বরাদ্দ দেয়া হয়নি। ঘর বরাদ্দ দেয়া হয়েছে অনেক বিত্তশালীদের নামে। 

উপজেলা প্রশাসনের তথ্যমতে উপজেলায় ৮৩১ জন ভূমি ও গৃহহীনের মধ্যে ১ম পর্যায়ে ঘর বরাদ্দ দেয়া হয় ১২০ পরিবারকে। ২য় পর্যায়ে ৩০০, ৩য় পর্যায়ে ১২০ ও চর ডিজাইন ১৫০, ৪র্থ পর্যায়ে ১৪০ ও উপজেলা প্রশাসনের অর্থায়নে ১টি পরিবারকে ঘর দেয়া হয়। অভিযোগ রয়েছে এসব ঘর বরাদ্দের ক্ষেত্রে সুবিধাভোগী নিবার্চনে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মতামত নেয়া হয়নি। রমনা মডেল  ইউনিয়নের মতো উপজেলার অন্যান্য ইউনিয়নেও এমন বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। 

জানতে চাইলে রমনা মডেল ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম আশেক আঁকা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর বরাদ্দ দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। সুবিধাভোগী নিবার্চনে আমার কোনো মতামত নেয়া হয়নি। 

উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা  (ইউএনও) রাফিউল ইসলাম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, চিলমারীতে আমার যোগদানের আগে ঘর বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। অভিযোগের সত্যতা পেলে এসব ঘর নতুন করে অন্য ভূমিহীনদের নামে বরাদ্দ দেয়া হবে।

জানতে চাইলে কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক মো. সাইদুল আরিফ দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, বিত্তবান বা পৃথক জমিসহ বাসস্থল রয়েছে এমন কেউ উপহারের ঘর পেয়ে থাকলে তা বাতিল করা হবে।

ধাপে ধাপে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হবে : শিক্ষামন্ত্রী - dainik shiksha ধাপে ধাপে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হবে : শিক্ষামন্ত্রী ডিবির হাতে গ্রেফতার নাসিরই চালান শিক্ষার ঢাকা ডিডি অফিস! - dainik shiksha ডিবির হাতে গ্রেফতার নাসিরই চালান শিক্ষার ঢাকা ডিডি অফিস! শিক্ষাভবন যখন কর্মকর্তার নোট-গাইড বিক্রির দোকান - dainik shiksha শিক্ষাভবন যখন কর্মকর্তার নোট-গাইড বিক্রির দোকান শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের একাডেমিক স্বীকৃতি দেয়ার ক্ষমতা পেলো কারিগরি বোর্ড - dainik shiksha শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের একাডেমিক স্বীকৃতি দেয়ার ক্ষমতা পেলো কারিগরি বোর্ড পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তির চূড়ান্ত সুপারিশ আগস্টে - dainik shiksha পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তির চূড়ান্ত সুপারিশ আগস্টে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে বুদ্ধিজীবী হ*ত্যায় জামায়াত কীভাবে জড়িত - dainik shiksha বুদ্ধিজীবী হ*ত্যায় জামায়াত কীভাবে জড়িত please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0028510093688965