প্রধান শিক্ষকদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ - দৈনিকশিক্ষা

প্রধান শিক্ষকদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ

দৈনিক শিক্ষাডটকম, নওগাঁ |

নওগাঁর মান্দার পাঁজরভাঙা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় গতকাল রোববারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ওই বিদ্যালয়ের ১১ জন শিক্ষক-কর্মচারী।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শিক্ষক ও কর্মচারী নিয়োগের সময় সহকারী শিক্ষক মোছা. শাহীদা খাতুনের কাছে ৪ লাখ ৫১ হাজার, কবিতা রানীর কাছে ৫ লাখ ১৫ হাজার, এনটিআরসিএ থেকে সুপারিশ প্রাপ্ত শিক্ষক আল-আমিনের কাছে ৪০ হাজার, মো. মতিউর রহমানের কাছে ৪০ হাজার, মো. আনিসুর রহমানের কাছে ৭০ হাজার এবং অফিস সহায়ক আসাদুজ্জামানের কাছে ১১ লাখ ৫০ হাজার হাতিয়ে নেয়। 

এ ছাড়াও প্রফিডেন্ট ফান্ডের লভ্যাংশ বাবদ ৪ লাখ ৩ হাজার, ২ শত, টিউশন ফি বাবদ ৪ লাখ ৯০ হাজার, লাইব্রেরির অনুদান বাবদ এক লাখ ৪০ হাজার, প্রতিষ্ঠানের আসবাবপত্র বিক্রয় বাবদ ৩৫ হাজার, শিক্ষকদের কাছ থেকে জরিমানা আদায় আনিসুর রহামানের কাছ থেকে ২ হাজার, কবিতা রানীর কাছ থেকে ১৫ হাজার, রমজান আলীর কাছে থেকে ১৪ হাজার এবং ৪ তলা বিশিষ্ট ভবন নির্মাণে ঠিকাদারের কাছে থেকে ৫ লাখসহ মোট ২৭ লাখ ১৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়।

এ ছাড়াও অভিযোগে আরো বলেন, প্রতিনিয়ত শিক্ষক-কর্মচারীদের সঙ্গে অসদাচারণ অফিসিয়াল কাগজপত্র ও আসবাবপত্র বাড়িতে ব্যবহার করে থাকেন। শিক্ষকদের প্রাপ্য পদোন্নতিতে বাধা সৃষ্টি, হয়রানি এবং বিনা কারণে শিক্ষকদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে শোকজ ও ভাউচার বিহীন শিক্ষকদের হাতে অতিরিক্ত টাকার পরিমাণ বসিয়ে স্লিপ ধরিয়ে দেয়।

প্রধান শিক্ষকের দুর্নীতির অভিযোগ দেয়া প্রসঙ্গে শিক্ষকরা বলেন, আমাদের নিয়োগের সময় তিনি প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নের কথা বলে আমাদের কাছে থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়ে আত্মসাৎ করেন। 

এ ছাড়াও বিদ্যালয়ের বিভিন্ন ফান্ড থেকে তিনি লাখ-লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন। আমরা তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এ বিষয়ে জানতে প্রধান শিক্ষক জালালের মুঠোফোনে একাধিক বার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি। তাই তার কোনো বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। 

অভিযোগ প্রাপ্তির সত্যতা নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোসা. লায়লা আরজুমান বানু বলেন, এই বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

প্রাথমিকে ২০ হাজার শিক্ষকের পদ সৃষ্টি হচ্ছে - dainik shiksha প্রাথমিকে ২০ হাজার শিক্ষকের পদ সৃষ্টি হচ্ছে স্কুল শিক্ষাকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত বর্ধিত করা উচিত - dainik shiksha স্কুল শিক্ষাকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত বর্ধিত করা উচিত ইএফটিতে বেতন দিতে এমপিও আবেদনের সময় এগোলো - dainik shiksha ইএফটিতে বেতন দিতে এমপিও আবেদনের সময় এগোলো কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক - dainik shiksha কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0032768249511719