সাবিহা সুমি, দৈনিক শিক্ষাডটকম : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের বিএস সম্মান ও আইন বিভাগের এলএলবি পরীক্ষায় সর্বোচ্চ সিজিপিএ প্রাপ্ত ১৪ ছাত্র-ছাত্রী ‘প্রফেসর মাহফুজা খানম-ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ বৃত্তি’ লাভ করেছেন।
এছাড়াও ব্যাংকিং অ্যান্ড ইন্স্যুরেন্স বিভাগের এমবিএ এবং উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের সর্বোচ্চ সিজিপিএ অর্জন করায় ১৬ মেধাবী শিক্ষার্থীকে ‘মুস্তাফিজুর রহমান খান-সালেহা খানম মেমোরিয়াল বৃত্তি’ দেয়া হয়েছে। ২০১২ খ্রিষ্টাব্দে যাত্রা শুরু করা দুটি বৃত্তিরই দাতা ডাকসুর সাবেক ভিপি প্রফেসর মাহফুজা খানম ও সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ।
বৃহস্পতিবার উপাচার্য লাউঞ্জে এক অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে শিক্ষার্থীদের হাতে বৃত্তির চেক তুলে দেন।
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রবীর কুমার সরকারের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন, ট্রাস্ট ফান্ডের দাতা ও ডাকসুর একমাত্র নারী ভিপি প্রফেসর মাহফুজা খানম, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক সীমা জামান এবং বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আব্দুস সামাদ।
‘মুস্তাফিজুর রহমান খান-সালেহা খানম মেমোরিয়াল বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা হলেন ব্যাংকিং অ্যান্ড ফিন্যান্স বিভাগের মো. জহির রায়হান, আফরিন রহমান মিলি, খন্দকার জিলহাজ, অনিকা আফরোজ, এসএম আকবর রশিদ, জানন্নাতুল নাঈম, মো. আব্দুর রহমান, ফাবিলহা ফাইরোজ।
উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ- এর রিফাতুর রহিম, অথৈ জামান, লিয়া তারিসা কোস্তা, সবিদ হাসান সুমন, আতিয়া সানজিদা সুষমা, এস এম মাসরুর আরফিন নয়ন, তাসনিমা নওশিন ফারিয়া, মো. আবদুল্লাহ।
‘প্রফেসর মাহফুজা খানম-ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ’ বৃত্তিপ্রাপ্তরা হলেন- পদার্থ বিজ্ঞানের সুমতি বিশ্বাস, সুমী আক্তার, সুপ্তজয় বড়ুয়া, রাবেয়া সুলতানা ও মাইশা ফাহমিদা।
আর আইন বিভাগের আবদুর রহমান মজুমদার, আফ্রিদা নওশিন, শাহরিমা তানজিম অর্নি, তাহশীন লুবাবা, আলি মাশরাফ, রুবাইয়াত হাসান শাওন, সুরাইয়া ফেরদৌস, তাসনিম, হেলাল মোর্শেদ অমিও।
অনুষ্ঠানে প্রফেসর মাহফুজা খানম-ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ ট্রাস্ট ফান্ডের দাতা প্রফেসর মাহফুজা খানম বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, আপনারা একসময় দেশের বড় বড় সেক্টরে যাবেন। আপনাদের প্রতি আমার একটাই অনুরোধ, যে সেক্টরেই যান না সবাইকে সৎ ও দুর্নীতিমুক্ত হতে হবে। এই দেশ ৩০ লাখ শহীদের রক্তে অর্জিত দেশ। তাদের প্রতি আমদের দায়বদ্ধতা রয়েছে। তাদের মূ্ল্যবোধ ধারণ করে বিবেকবান, দুর্নীতিমুক্ত এবং একটি অসাম্প্রদায়িক দেশ গড়তে আপনাদের কাজ করতে হবে।
ডাকসুর সাবেক এই ভিপি আরো বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে আমার পারিবারিক সম্পর্ক। আমাদের দেশের শিক্ষার্থীরা যে পরিমাণ কষ্ট করে পড়াশোনা করেন তা হয়তো পৃথিবীর অন্য কোথাও নেই। আমি ব্যক্তি অর্থায়নে ২৭টি ফান্ড করেছি। আমরা শিক্ষার্থীদের পাশে থাকতে চাই। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের প্রতি অনুরোধ থাকবে তারা যেনো ট্রাস্ট ফান্ডগুলো চলমান রাখেন৷ ঢাবির এগুলোকে উৎসাহিত করা প্রয়োজন।