প্রস্তাবিত বাজেটে শিক্ষা কোথায় - দৈনিকশিক্ষা

প্রস্তাবিত বাজেটে শিক্ষা কোথায়

মাছুম বিল্লাহ |

গোটা বিশ্বের চ্যালেঞ্জিং অথনীতির মুখে আমাদের মতো বিশাল জনসংখ্যার দেশে বাজেট করা একটি দুরূহ ব্যাপার, অত্যন্ত কঠিন কাজ। অথর্নীতির প্রচলিত নিয়মে এটি বাঁধা যায় না। যে হারে দ্রব্যমূল্য বেড়েছে, বাড়ছে এবং বাড়বে তা কোনো অর্থনৈতিক নিয়ম মেনে হচ্ছে না। এটি কার বা কাদের নিয়ন্ত্রণে সেটিও বলা মুশকিল। তবে, জনগণ রাষ্ট্রের কাছেই দাবি করবে এটিই স্বাভাবিক। তারা রাষ্ট্রকে কেউ কেউ সাধ্যমতো, অনেকেই সাধ্যের বাইরে ট্যাক্স দিচ্ছেন। যদিও যাদের ট্যাক্স প্রদান করার কথা অনেক, যেটি করতে পারলে সাধারণ জনগণ তথা রাষ্ট্র প্রকৃত অর্থেই উপকৃত হতো। রাষ্ট্র সেটা বাস্তবায়ন করতে পারছে না। বরং বিভিন্ন অজুহাতে এবং আইনের ফাঁক-ফোকর দিয়ে এসব ধনিক শ্রেণি বরং রাষ্ট্র থেকে আরো গ্রহণ করছে। যার জের বহন করতে হচ্ছে জনগণকে।

তাই বলা হয়ে থাকে, বাজেট একটি রাজনৈতিক প্রক্রিয়া এবং বাজেট প্রস্তাবগুলো রাজনৈতিক মীমাংসার ধারাবাহিকতায় নির্ণীত হয়। নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের কর্মসংস্থান, আয় ও সঞ্চয় মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। নতুন দরিদ্র তৈরি হচ্ছে। দারিদ্র সীমার নিচের অর্ধেক বা ৯ শতাংশ তথা দেড় কোটি মানুষ নতুন দরিদ্র। আনুষ্ঠানিক খাতে কর্মসংস্থানের অনুপস্থিতিতে টিকে থাকতে, আত্মকর্মসংস্থানে বাধ্য হচ্ছে। 

বিআইডিএসের জরিপ অনুযায়ী, ২০১৯ খিষ্টাব্দের ৩৩ দশমিক ৬০ শতাংশ থেকে বেড়ে দরিদ্রদের মধ্যে আত্মকর্মসংস্থানের হার ২০২২-এ ৩৮ দশমিক ৫৬ শতাংশ হয়েছে। বেশিরভাগ মানুষই আয়-ব্যয়ের ভারসাম্য রক্ষা করতে পারছেন না। বেঁচে থাকার তাগিদে সাধারণ মানুষ বিভিন্ন উপায় অবলম্বন করছেন। তাদের ঋণের বোঝা বাড়ছে। মোট কথা, বাংলাদেশের মানুষের অর্থনীতি ও জনজীবন ভয়ংকর এক সংকটকাল অতিক্রম করছে। এই সংকটকালের বাজেটে শিক্ষার অবস্থান সহজেই অনুমেয়। 

এই অর্থবছরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন শিক্ষাখাতে টাকার অঙ্কে মোট বরাদ্দ বাড়ছে। চলতি অর্থ বছরের তুলনায় ৬ হাজার ৭১৩ কোটি টাকা বেশি বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। এই দুই মন্ত্রণালয়ের জন্য আসন্ন অর্থবছরে মোট ৮৮ হাজার ১৬২ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে যা গত অর্থবছরে ছিলো ৮১ হাজার ৪৪৯ কোটি টাকা। জিনিসপত্রের চড়ামূল্য, সাধারণ বার্ষিক বেতন বৃদ্ধির কারণে এক বছর থেকে আরেক বছর স্বাভাবিকভাবেই খরচ বেড়ে যায়, এটি নতুন বা উল্লেখ করার মতো কোনো সংবাদ নয়। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জন্য এবার ৩৪ হাজার ৭২২ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে যা চলতি অর্থবছরে ছিলো ৩১ হাজার ৭৬১ কোটি টাকা। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচচশিক্ষা বিভাগের জন্য ৪২ হাজার ৮৩৮ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে, চলতি অর্থবছরে এর পরিমাণ ছিল ৩৯ হাজার ৯৬১ কোটি টাকা। মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের জন্য ১০ হাজার ৬০২ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে, এটি চলতি অর্থ বছরে ছিল ৯ হাজার ৭২৭ কোটি টাকা।  

প্রস্তাবিত এই বাজেটকে ‘শিক্ষা ধ্বংসের বাজেট’ বলেছেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের নেতারা। তারা বলছেন, জিডিপির অনুপাতে শিক্ষা খাতে বরাদ্দ কমানোর সিদ্ধান্ত জনগণকে শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত করার চক্রান্ত। জিডিপির অনুপাতে বাজেটে কম বরাদ্দ শিক্ষার প্রতিটি স্তরে মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব ফেলবে বলে আশঙ্কা করছেন তারা। জনগুরুত্বপূর্ণ খাতগুলোতে যেমন বাজেট কমেছে তেমনি শিক্ষা খাতেও কমেছে। 

ইউনেস্কোর মতে, কোনো দেশের জিডিপির ৬ শতাংশ শিক্ষা খাতে বরাদ্দ করা দরকার। সেখানে এ বছর শিক্ষাখাতে জিডিপির মাত্র ১ দশমিক ৭৬ শতাংশ বরাদ্দ রাখা হয়েছে। গত বাজেটে এটি ছিলো ১ দশমিক ৮৩ শতাংশ। ২০২০-২১ অর্থবছরে এটি ছিলো ২ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ। নতুন অর্থবছরে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষার জন্য মোট বাজেটের ১১ দশমিক ৫৭ শতাংশ বা ৮৮ হাজার ১৬২ কোটি টাকা শিক্ষা খাতে বরাদ্দের কথা বলা হয়েছে। চলতি অর্থবছরে তা ছিলো ১২ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ বা ৮১ হাজার ৪৪৯ কোটি টাকা। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ এবং কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের জন্য ২০২৩-২৪ এ উন্নয়ন বাজেট মোট বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) ১১ শতাংশ যা ২০২২-২৩ অর্থবছরের তুলনায় দশমিক ৪৭ শতাংশ কম। সবই নিম্নমুখী। 
শিক্ষা একটি মৌলিক অধিকার এবং মানবিক অধিকার। শিক্ষাখাতে বরাদ্দ কমানোর মধ্য দিয়ে রাষ্ট্র ও সরকার শিক্ষা সংকোচনের পথে হাঁটছে। অপরদিকে, শিক্ষার অধিকার থেকে নাগরিকদের বঞ্চিত করা হচ্ছে। 

.২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে দেশের সার্বিক অর্থনীতির জন্য যে চ্যালেঞ্জগুলো শনাক্ত করা হয়েছে সেগুলো হলো-সার্বিকভাবে মূল্যস্ফীতির হার নিয়ন্ত্রণ, লেনদেনের ভারসাম্য পরিস্থিতি উন্নয়ন, বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার স্থিতিশীল রাখা, রিজার্ভ বাড়ানো, অপরিশোধিত তেল সংগ্রহ এবং প্রাকৃতিক গ্যাস ও আন্তর্জাতিক বাজারে নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় যেসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে সেগুলো হলো-বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ বাড়ানো, কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে সরকারি ব্যয় বৃদ্ধি, ব্যাংকিং ব্যবস্থার মাধ্যমে শিল্প ও ব্যবসায় কম সুদে ঋণ সৃষ্টির লক্ষ্যে সরকারি ব্যয় বৃদ্ধি, ব্যাংকিং ব্যবস্থার মাধ্যমে শিল্প ও ব্যবসায় কম সুদে ঋণ প্রদান, সামাজিক মুদ্রা সরবরাহ নিশ্চিত করা। বৈদেশিক খাতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় রপ্তানি আয় ও রেমিট্যান্স বাড়ানো। 
শিক্ষার সমস্যার জন্য চ্যালেঞ্জ শনাক্ত করা এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়ার বিষয় নেই বাজেটে। অথচ আমরা অর্থনীতি নিয়ে, কর্মসংস্থান বাড়ানোর কথা বলি, বিদেশ থেকে রেমিট্যান্স আসার কথা বলি। এর সবগুলোই কিন্তু শিক্ষাবিষয়ক। শিক্ষার গোড়ার বিষয়গুলো চিন্তা করলে, কারিগরি শিক্ষাকে প্রকৃত অর্থে অগ্রাধিকার দিলে জাতীয় অর্থনীতি তার সুফল পেতো। কিন্তু এসব বিষয় বাজেটে আসেনি। 

বিভিন্ন জায়গা থেকে বিভিন্নভাবে অর্থনীতিকে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। এখানেও জনগণ আশা করতে পারে যে, এটি রাষ্ট্রের হাতে থাকতে হবে। সেটি তারা দেখতে পাচ্ছে না। এমতাবস্থায় শিক্ষার কী হবে?  অর্থনীতির বিরূপ প্রভাব যেভাবে জনগণের জীবনকে নাকাল করে ফেলেছে সেখানে শিক্ষা নিয়ে ভাবার সময় কোথায়? তবে, অদ্ভুত দুয়েকটি বিষয় যেটি বাজেট সংক্রান্ত। তবে শুধু ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয়, দীর্ঘদিনের বাজেটের সঙ্গে সংযুক্ত। যেমন, প্রতি জেলায় একটি করে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা। বিশাল জনসংখ্যার জন্য উচ্চশিক্ষার পুরো দায়িত্ব রাষ্ট্রকে কেন নিতে হবে? 

প্রথমত, সকল নাগরিকের জন্য মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। রাষ্ট্র সেখানে একটি বিশাল সাপোর্ট দিয়ে যাচ্ছে অর্থাৎ ৬৫ হাজার ৬২০টি প্রাথমিক বিদ্যালয় পুরোপুরি রাষ্ট্র পরিচালিত। এটি একটি চমৎকার বিষয়। কিন্তু মানের দিক থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবস্থান  তলানিতে। এটি নিয়ে রাষ্ট্রকে প্রচুর কাজ করতে হবে। তারপর আসে মাধ্যমিক শিক্ষা। সেটি আছে হ-য-ব-র-ল অবস্থায়। মাধ্যমিক শিক্ষা নিয়ন্ত্রিতই হচ্ছে বেসরকারি পর্যায়ে। বিষয়টির কোনো সমাধান হয়নি। এটি না সরকারি, না বেসরকারি। সেনাশাসিত সরকার একটি দ্রুত সিদ্ধান্ত দিয়েছিলো বেসরকারি শিক্ষকদের রাষ্ট্র থেকে প্রণোদনার বিষয়ে। সেটি দেখা যাচ্ছে, একটি দীর্ঘস্থায়ী পদ্ধতিতে পরিণত হয়েছে। রাষ্ট্র থেকে তাদের অনুদান দেওয়া হতো তিন মাস পর পর, পরে যেটি প্রতিমাসে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হলো এবং এই বিষয়টিই মোটামুটি একটি স্থায়ী পদ্ধতি হিসেবে ‘এমপিও’ নামে পরিচিতি পেয়ে গেলো। এটি মাধ্যমকি শিক্ষা পরিচালনার বিষয়ে প্রকৃত সমাধান নয়, এটি ছিলো দ্রুত ও আপাতত কোনো সিদ্ধান্ত। 

অথচ এ নিয়ে শিক্ষক নেতারাও তেমন কিছু বলছেন না। মাধ্যমিক শিক্ষাটা পরিচালিতই হচ্ছে এই এমপিও নামক রাষ্ট্রীয় সহায়তার মাধ্যমে। যেটি কোনো স্থায়ী পদ্ধতি হতে পারে না। তারপরেও হাজার হাজার বেসরকারি শিক্ষক অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করেন- তাদের বিদ্যালয়টি এমপিওভুক্ত হবে, তাদের অর্থনৈতিক টানাপড়েন অনেকটাই কমবে, তারা শিক্ষাদানে অধিকতর মনোনিবেশ করতে পারবেন। কিন্তু প্রস্তাবিত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে নতুন বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারিকরণ অথবা এমপিওভুক্তির কোনো আশা দেখা যাচ্ছে না। মাধ্যমিকের বিশাল শিক্ষা ব্যবস্থাটি এ ধরনের একটি অস্থায়ী অর্থনৈতিক ব্যবস্থা দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। মান তলানিতে অথচ রাষ্ট্রীয় টাকায় আমরা এতো এতো বিশ্ববিদ্যালয় বানাচ্ছি। বেসরকারি ও অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল হওয়ায় শিক্ষার মানের অধোগতি রোধ করার কথা চিন্তা না করে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় বানানোর পরিকল্পনা এবং বাস্তবায়ন করা কেমন সিদ্ধান্ত তা আমাদের বুঝে আসে না। 

এখানে মানসম্মত শিক্ষার্থী আসবে কোথা থেকে? তারা পাস করে সবাই বিসিএস পরীক্ষার জন্য লাইন দেবে। অথচ দেশের মানুষ চিকিৎসা করাতে যাবে দেশের বাইরে, দেশের ইঞ্জিনিয়ারিং কাজ করানোর জন্য ভারত, শ্রীলঙ্কা আর উন্নত দেশ থেকে প্রযুক্তি আমদানি করতে হবে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সব লাঠিয়ালদের দখলে। এখানে নেই কোনো আবিষ্কার, নেই প্রকৃত গবেষণা। শিক্ষার্থী যারা পড়াশুনা করছেন তারা প্রশাসনিক ক্যাডার হওয়ার জন্য মরিয়া, আর যারা পড়াশুনা করছেন না তারা রাজনৈতিক ক্যাডার হওয়ার প্রতিযোগিতায় ক্যাম্পাসকে উত্তপ্ত করছেন প্রতিদিন। আর যাদের একটু সাধ্য আছে তারা বিদেশে চলে যাচ্ছেন, সঙ্গে নিয়ে যাচ্ছেন প্রচুর ডলার। ডলার দেশে আনার প্রকৃত পরিকল্পনা এই শিক্ষার মাধ্যমে নেই। 

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে যদি লাঠিয়াল বাহিনীমুক্ত করে প্রকৃত পড়াশুনার জায়গা বানানো যেতো, তাহলে আমরা প্রচুর বিদেশি শিক্ষার্থীকে আকৃষ্ট করতে পারতাম, যা আমাদের অর্থনীতিকে সবল করতো। 

বাজেটে বলা হয়েছে, তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ২০ লাখ লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে। এটি আরো বাড়িয়ে ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে ৩০ লাখে উন্নীত করা হবে। ১০৯টি হাইটেক পার্ক স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এতে ২০৩০-এর মধ্যে ১ লাখ তরুণ-তরুণীকে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। হাইটেক ২০৪১ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে ২ লাখ কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে। বর্তমানে ১৭৬ দেশে এক কোটি ৪৯ লাখ কর্মী কাজ করেন। নতুন বাজার অনুসন্ধান করা হচেছ। নুতন বাজার খোঁজা মানে দক্ষ জনশক্তি তৈরি করতে হবে। আর সেজন্য দরকার শিক্ষায় বরাদ্দ বাড়ানো। অর্থমন্ত্রী বাজেট বক্তৃতায় বলেছেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশের’ জন্য স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট সরকার, স্মার্ট সোসাইটি ও স্মার্ট ইকোনমি প্রয়োজন। কিন্তু স্মার্ট নাগরিক তৈরির পূর্বশর্তই হচ্ছে শিক্ষা। অথচ জনগোষ্ঠীর একটা অংশকে শিক্ষার অধিকার বঞ্চিত করা হচ্ছে সুকৌশলে। যারা সংসারের অন্যদিকের খরচ কমিয়েও ভাবতেন যে তাদের সন্তান লেখাপড়া করুক সেটি আরো কঠিনতর হচ্ছে। অন্যান্য পণ্যের সঙ্গে শিক্ষা উপকরণের দামও যেভারে বেড়েছে সেটিও ভীষণ বিপদে ফেলেছে জনগণকে। যে বঞ্চনার জন্য আমরা স্বাধীন হয়েছি শিক্ষাক্ষেত্রে সেই বৈষম্যের রেখা যেনো ইচ্ছে করেই স্ফীত করা হচ্ছে। যতো ধরনের রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা তা পাবেন মুষ্টিমেয় কিছু সরকারি শিক্ষক, আর বেসরকারি শিক্ষকদের কিছুই বাড়ছে না। যদিও রাষ্ট্রের শিক্ষার বিশাল অংশের দায়িত্ব তারাই পালন করছেন। শিক্ষার এই বৈষম্য আর কতোকাল থাকবে? কোনো বাজেটই কি এর প্রকৃত সমাধান বাতলাবে না?

লেখক: শিক্ষা বিশেষজ্ঞ ও গবেষক

 

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে আবারো ভর্তি পরীক্ষা চালু হবে - dainik shiksha জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে আবারো ভর্তি পরীক্ষা চালু হবে সরকারি-বেসরকারি স্কুলে ভর্তি: দুই দিনে আবেদন প্রায় দুই লাখ - dainik shiksha সরকারি-বেসরকারি স্কুলে ভর্তি: দুই দিনে আবেদন প্রায় দুই লাখ শিক্ষক নিয়োগেও নামকাওয়াস্তে মনস্তাত্ত্বিক পরীক্ষা হয়: গণশিক্ষা উপদেষ্টা - dainik shiksha শিক্ষক নিয়োগেও নামকাওয়াস্তে মনস্তাত্ত্বিক পরীক্ষা হয়: গণশিক্ষা উপদেষ্টা পাঠ্যপুস্তক থেকে শেখ মুজিব ও শেখ হাসিনার বিষয়বস্তু অপসারণের দাবি - dainik shiksha পাঠ্যপুস্তক থেকে শেখ মুজিব ও শেখ হাসিনার বিষয়বস্তু অপসারণের দাবি এসএসসির ফরম পূরণ শুরু ১ ডিসেম্বর - dainik shiksha এসএসসির ফরম পূরণ শুরু ১ ডিসেম্বর কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের গল্প - dainik shiksha পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের গল্প কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক - dainik shiksha কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক পাঠ্যপুস্তকে একক অবদান তুলে ধরা থেকে সরে আসার আহ্বান হাসনাতের - dainik shiksha পাঠ্যপুস্তকে একক অবদান তুলে ধরা থেকে সরে আসার আহ্বান হাসনাতের ৬ষ্ঠ ও ৮ম শ্রেণির বাদপড়া শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশনের সুযোগ - dainik shiksha ৬ষ্ঠ ও ৮ম শ্রেণির বাদপড়া শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশনের সুযোগ দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0053591728210449