দৈনিকশিক্ষাডটকম, লালমনিরহাট : লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের প্রশিক্ষণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে হাতীবান্ধা উপজেলার শাহ্ গরিবুল্যাহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, আর টি আই'র সহযোগিতায় সরকারি অর্থায়নে উপজেলা শিক্ষা অফিসের বাস্তবায়নে প্রতি উপজেলার প্রত্যেক বিদ্যালয় থেকে দুইজন করে শিক্ষক 'একীভূতকরণের কৌশল শিখন শেখানো এবং মূল্যায়নবিষয়ক প্রশিক্ষণে' অংশগ্রহণ করার কথা ছিল। তবে নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে শিক্ষা অফিসার ফেরদৌসি বেগম আগের প্রশিক্ষণরত শিক্ষকদের স্বজনপ্রীতি করে পুনরায় প্রশিক্ষণে নাম অন্তর্ভুক্ত করেন।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক রোকনুজ্জামান সোহেল অভিযোগ করে বলেন, শিক্ষা অফিসার ফেরদৌসি বেগম ও উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার মিঠুন চন্দ্র বর্মনের সহযোগিতায় একই শিক্ষক দুইবার প্রশিক্ষণের সুযোগ পেলেও অনেক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা এখন পর্যন্ত প্রশিক্ষণের সুযোগ পাচ্ছেন না।
এ বিষয়ে কিছামত নোহালী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বিমল চন্দ্র বলেন, 'একীভূতকরণ প্রশিক্ষণের সমন্বয়কারী উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার মিঠুন চন্দ্র বর্মনকে বারবার বলা হলেও আজ পর্যন্ত আমার প্রশিক্ষণ হয়নি।'
সহযোগী সংস্থাটির কনসালটেন্ট অমল চন্দ্র রায় বলেন, এক ব্যক্তি বারবার প্রশিক্ষণ দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। যদি সেটি হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই অনিয়ম।
এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার মিঠুন চন্দ্র বর্মন বলেন, 'একটু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে, সমাধান করার চেষ্টা করছি।'
বিষয়টি নিয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার ফেরদৌসি বেগমের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, 'ভুলবসত দ্বিতীয়বার চারজন শিক্ষককের নাম পুনরায় চলে গেছে। তাদের আমরা বাদ দিয়ে প্রশিক্ষণ চালু করব।'