সংবিধান, আইন ও সংসদ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ সাংবাদিক প্রয়াত মিজানুর রহমান খান ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের সেপ্টেম্বরে গিয়েছিলেন শ্রীলংকায়। সেবার শ্রীলঙ্কা প্রেস ইনস্টিটিউট (এসপিআই) চার দিনের একটি সিম্পোজিয়াম আয়োজন করেছিল। নয়টি দেশের আমন্ত্রিত প্রতিনিধিদের মধ্যে তিনি ছিলেন বাংলাদেশ থেকে একমাত্র আমন্ত্রিত। ওই সফর তাকে দ্বীপরাষ্ট্রটির সংবাদপত্রসেবীদের কাছ থেকে দেখার সুযোগ করে দেয়। ফিরে এসে তিনি বিশেষ একটি প্রতিবেদন তার অভিজ্ঞতা প্রকাশ করেন। প্রাসঙ্গিকতা বিবেচনায় সেই লেখাটি পুন:প্রকাশ করা হলো-
শ্রীলঙ্কার সঙ্গে আমরা প্রাচীনকাল থেকে আত্মীয়তার একটা গভীর বন্ধন অনুভব করি। সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত তাঁর কবিতায় লিখেছিলেন, ‘আমাদের ছেলে বিজয় সিংহ লঙ্কা করিয়া জয়, সিংহল নামে রেখে গেছে নিজ শৌর্যের পরিচয়।’ দ্বিজেন্দ্রলাল রায় তাঁর গানে লিখেছেন, ‘একদা যাহার বিজয় সেনানী হেলায় করিল লঙ্কা জয়, একদা যাহার অর্ণবপোত ভ্রমিল ভারত সাগরময়।’
অগ্রজ বর্ষীয়ান সাংবাদিক তোয়াব খান ইত্তেফাক-এ স্মৃতিচারণা করেছিলেন, অটোয়ায় কমনওয়েলথ শীর্ষ সম্মেলনে শ্রীলঙ্কার তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শ্রীমাভো বন্দরনায়েকে এবং তাঁর সফরসঙ্গী কন্যা চন্দ্রিকা কুমারাতুঙ্গার (পরে প্রেসিডেন্ট) সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর একান্তে কথা হয়েছিল। ওই সময় বঙ্গবন্ধুর মুখে দ্বিজেন্দ্রলালের পঙ্ক্তি শুনে চন্দ্রিকা কুমারাতুঙ্গা বলেছিলেন, ‘আপনি কি বিজয় সিংহের মতো শ্রীলঙ্কা জয় তথা দখল করতে চান?’ বঙ্গবন্ধু ক্ষণিক চুপ করে থেকে বলেছিলেন, ‘নিশ্চয়ই চাই। তবে দেশ নয়, তোমাদের হৃদয়কে জয় করতে চাই।’ বঙ্গবন্ধু নিশ্চয় সফল হয়েছেন।
বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের কথা বলতে গিয়ে চন্দ্রিকা কুমারাতুঙ্গা, যাঁর সঙ্গে কলম্বোয় আমি গত ২৮ সেপ্টেম্বর দেখা করি, তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তাঁর বিশেষ ব্যক্তিগত সখ্যের কথাও উল্লেখ করেন। চন্দ্রিকা ক্ষমতায় থাকতেই ১৯৯৮ সালে শ্রীলঙ্কার সাংবাদিকেরা ঐক্যবদ্ধভাবে গণমাধ্যম আইনের ব্যাপক সংস্কারের সুপারিশসংবলিত ‘কলম্বো ঘোষণাপত্র’ ঘোষণা করেছিলেন। এ জন্য হয়তো বিখ্যাত বন্দরনায়েকে পরিবারের (গত শতাব্দীর অর্ধেকটাই তারা শাসন করেছে) ঈষৎ কৃতিত্ব প্রাপ্য, কে জানে তাঁদের সরকার ঠেকাতে চাইলে সব সাংবাদিক-মালিকপক্ষের দৃঢ় ঐক্য করা অসম্ভব হতো। ওই সময় চন্দ্রিকা ছিলেন প্রেসিডেন্ট, আর তাঁর মা প্রধানমন্ত্রী। ওই ঘোষণাপত্রের ২০তম বার্ষিকীতে ইউনেসকো এবং যুদ্ধোত্তর শ্রীলঙ্কায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকারী দেশ নরওয়ের সহায়তায় শ্রীলঙ্কা প্রেস ইনস্টিটিউট (এসপিআই) চার দিনের একটি সিম্পোজিয়াম আয়োজন করেছিল। নয়টি দেশের প্রতিনিধিরা আমন্ত্রিত হন। বাংলাদেশ থেকে আমিই ছিলাম আমন্ত্রিত, আর এটাই এই দ্বীপরাষ্ট্রের সংবাদপত্রসেবীদের কাছ থেকে দেখার সুযোগ এনে দেয় আমাদের।
১৯৯৮ সালে ওই ঘোষণাপত্র জারির অল্প পরে চন্দ্রিকা বিচ্ছিন্নতাবাদী এলটিটিইর সন্ত্রাসী হামলায় প্রাণে বাঁচলেও এক চোখ হারান। এক দশক পরে ২০০৮ সালে শ্রীলঙ্কার সাংবাদিক সমাজ পুনরায় ঐক্যবদ্ধভাবে ওই ঘোষণাপত্রে একটি সংশোধনী আনে। যদিও দাবিদাওয়ার বেশির ভাগই আজও অপূরণীয় থেকেছে। তাই সাফল্য আক্ষরিক অর্জনে নয়, সব আবহাওয়ায় সংবাদকর্মীদের ঐক্য ধরে রাখায়। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও তাদের পেছনে সক্রিয় আছে। প্রায় ২৬ বছরের (১৯৮৩-২০০৯) রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধ, যা ৮০ থেকে ১ লাখ মানুষের প্রাণ কেড়েছে, তার মধ্যেই লঙ্কান সাংবাদিকেরা কলম্বো ঘোষণাপত্র ঘোষণা এবং তার এক দশক পূর্তি পালন করেছিলেন। ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর তাঁরা কলম্বো ঘোষণাপত্রের ২০তম বার্ষিকী পালন করেছেন।
তৎকালীন প্রেসিডেন্ট চন্দ্রিকা সরকারের আমলে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মানহানি আইনের প্রয়োগ বেড়ে গিয়েছিল। এটা রোধ করার তাড়না থেকেই সাংবাদিকেরা দলমত-নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ হয়েছিলেন। গৃহযুদ্ধ চলমান থাকতে তাঁরা যে ঐক্য গড়েছেন, সেটা তাঁরা যুদ্ধ শেষ হওয়ার প্রায় এক দশক পরও ধরে রাখতে পেরেছেন। তাঁদের এই ধারাবাহিক সামর্থ্য আমাদের সব থেকে চমৎকৃত ও মুগ্ধ করেছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কতিপয় অংশ বাতিল করার দাবিতে আন্দোলনরত বাংলাদেশের সংবাদকর্মীরা লঙ্কা মিডিয়ার এই সামর্থ্যের দিকে সমীহভরে তাকাতে পারেন। আইনের গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার প্রস্তাবগুলো অপূরণীয় থাকা তাঁদের হতোদ্যম করেনি। ২০ বছরের বার্ষিকী পালনে দেশের উল্লেখযোগ্য সব ধরনের সাংবাদিক ও মালিকদের সংগঠনগুলো যোগ দিয়েছে। আর সেখানে প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার, প্রধান তথ্য কমিশনার, বিরোধী দলের নেতা এবং বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতের প্রাণবন্ত উপস্থিতি ও বক্তৃতা লক্ষ করেছি।
চার দিনের সিম্পোজিয়ামে তিন দিন তিনটি বিষয়ে (নিরাপত্তাই প্রথম, তথ্য অধিকার আইন ও সম্মুখযাত্রা এবং আদালত অবমাননা-সীমা চিহ্নিতকরণ) অন্যতম মূল অতিথি বক্তা ছিলাম। তাই শ্রীলঙ্কার সংবিধান, আইন এবং উচ্চ আদালতের রায়ের কিছু দিক পর্যালোচনায় সচেষ্ট ছিলাম। আমি কলম্বো সভায় বলি, বাকস্বাধীনতা সংবিধানে কীভাবে থাকবে, সেটা নির্ধারণে ১৯৪৭ সালের বহু আগে কংগ্রেস ও মুসলিম লীগের সমন্বয়ে করা একটি উদ্ভাবন বিরাট প্রভাব ফেলেছে। ভারতের সংবিধানের ১৯ অনুচ্ছেদটি (মানহানি, জনশৃঙ্খলা, আদালত অবমাননা, বিদেশি রাষ্ট্রের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রক্ষার বিষয়ে ‘যুক্তিসংগত বাধানিষেধ’ সাপেক্ষে বাক স্বাধীনতার নিশ্চয়তা) হলো সেই উদ্ভাবন। ১৯৫৬ সালে পাকিস্তান এবং ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ যা অবিকল গ্রহণ করেছে। আর এই তিনটি দেশের সুপ্রিম কোর্টের ওপর দায়িত্ব বর্তেছে সংসদ যখনই আইন পাস করবে, তখন তার কতটা ‘যুক্তিসংগত’ সেটা যাচাই করে বলা, তার কোনটি কতখানি বৈধ, কতখানি অবৈধ।
কলম্বো ঘোষণাপত্রটি পাঠ করার আগ পর্যন্ত আমি কখনো ভাবিনি, বাকস্বাধীনতার সুরক্ষায় আমাদের ৩৯ অনুচ্ছেদের (ভারতের উক্ত ১৯ অনুচ্ছেদ) থেকে অধিকতর কার্যকর বিকল্প আর কী হতে পারে। অনলাইনে উগ্রপন্থা ও হেট স্পিচের বিস্তার রোধ করাই হলো ডিজিটাল নিরাপত্তা। আমরা তার সমর্থক, কিন্তু নতুন আইনের সেসব অংশের আমরা বিরোধিতা করি, যা বাংলাদেশ সংবিধানের ৩৯ অনুচ্ছেদমতে ‘যুক্তিসংগত বাধানিষেধ’ নয়। অবশ্য টুইন টাওয়ার ধ্বংসের আগে মার্কিন সংবিধানে লেখা ‘বাক্স্বাধীনতার পরিপন্থী কোনো আইন কংগ্রেস পাস করতে পারবে না, ’ সেটা আদর্শস্থানীয়, বাস্তব ও রপ্তানিযোগ্য ভাবতাম। এখন ভাবি, ১৯৯৬ সালে নেলসন ম্যান্ডেলা দক্ষিণ আফ্রিকার সংবিধানের ৩৬ (১) অনুচ্ছেদে যা করে গেছেন, সেটা অন্তত আমরা নিতে পারি। এটি অনুকরণে লঙ্কার সাংবাদিকদের সঙ্গে আমরা একমত।
দক্ষিণ আফ্রিকার সংবিধানে ভারত বা আমাদের মতো ‘যুক্তিসংগত’ কথাটি রেখেছে। কিন্তু শুধু একটি শব্দে শেষ করাই নিরাপদ মনে করেনি। এটাও বলা হয়েছে, মিডিয়া নিয়ন্ত্রণকারী আইন ‘ভালো অছিলার’ হবে। আইনটি ‘একটি উন্মুক্ত ও গণতান্ত্রিক সমাজে’ থাকা ‘মানবিক মর্যাদাপূর্ণ অবস্থা, সমতা ও স্বাধীনতার’ নিশ্চয়তা দেবে। পাঁচটি বিষয় বিবেচ্য থাকবে। ক. অধিকারের ধরন, খ. বাধানিষেধ আরোপের গুরুত্ব, গ. বাধানিষেধের ধরন ও তার সীমা, ঘ. কোনো নিষেধাজ্ঞা আরোপের উদ্দেশ্য এবং নিষেধাজ্ঞার সময়সীমা, ঙ. উদ্দেশ্য অর্জনে অপেক্ষাকৃত কম বাধানিষেধ আরোপ।
আমাদের বিতর্কিত ৫৭ ধারা (দেখলে শুনলে নীতিভ্রষ্ট হওয়ার মতো অস্পষ্ট বিধান) ছিল ভারতীয় আইনের সেই ৬৬ক ধারার যমজ ভাই, যা অবৈধ হিসেবে ভারতের সুপ্রিম কোর্টে বাতিল হওয়ার পর স্বপ্নেও ভাবিনি, এটি ডিজিটাল আইনে এখন চার খণ্ডে চেপে বসবে। যেহেতু চেপে বসেছে এবং সাংবাদিক সমাজের দাবি অগ্রাহ্য হয়েছে, তাই দীর্ঘমেয়াদি লড়াইয়ে যেতে হবে, আর সে জন্য বাংলাদেশ সংবিধানের উল্লেখিত ৩৯ অনুচ্ছেদে পরিবর্তন আনার দাবি এখনই জোরেশোরে তোলা উচিত হবে। ভারতসহ এই অঞ্চলের মিডিয়া সংঘগুলোরও এটা বিবেচনায় নেওয়ার দাবি রাখে। সামনের দিনগুলোতে সারা বিশ্বে রাষ্ট্র বা সরকার বনাম স্বাধীন মিডিয়ার লড়াইটা তীব্র হবে। সংসদীয় যৌথ জবাবদিহি জৌলুশ হারাবে। ডিজিটাল মাধ্যমেই ক্ষমতাসীনদের জবাবদিহির ধারণা অনেক বেশি গতিশীল হবে। কৃত্রিম মিডিয়া হয়তো প্লেগের মতো ছড়িয়ে পড়বে। আবার ভুয়া সংবাদের মতো ভুয়া অনলাইন মাধ্যম, ভুয়া সাংবাদিক এবং বিদ্বেষ ছড়ানো বক্তৃতা (হেট স্পিচ) মোকাবিলা করতে রাষ্ট্রের উদাসীন থাকাও চলবে না।
শ্রীলঙ্কা দণ্ডবিধি থেকে ফৌজদারি মানহানি এবং প্রেসিডেন্টের মর্যাদা রক্ষাসংক্রান্ত বিশেষ বিধান বিলোপ করেছে অনেক আগে। আমরা তা পারিনি। আমাদের আইন কমিশন বলেছে, ফৌজদারি মানহানির বিধান বিলোপ করা ঠিক হবে না। আর খালেদা জিয়া ১৯৯১ সালে প্রধানমন্ত্রীর অমর্যাদাকে দণ্ডনীয় করার পরে সাংবাদিকেরা আজ পর্যন্ত ওই কালাকানুন বাতিলের দাবিও তোলেননি। শ্রীলঙ্কার সাবেক প্রেসিডেন্ট মাহিন্দা রাজাপক্ষে, যিনি রাষ্ট্রের নির্বাহী ক্ষমতা নিরঙ্কুশভাবে নিজের হাতে নিয়েছিলেন, যিনি প্রধান বিচারপতি শিরানিকে অন্যায্য প্রক্রিয়ায় অপসারণ করেছিলেন, জনগণ তাঁকে ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে বিদায় করেছিল। চন্দ্রিকা-সমর্থিত নতুন প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনা তিন মাসের মধ্যে সংবিধানের ১৯তম সংশোধনীর মাধ্যমে প্রেসিডেন্টের নিরঙ্কুশ ক্ষমতা খর্ব করে (এমনকি একাদিক্রমে দুবারের বেশি প্রেসিডেন্ট হওয়ার নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করেন) উপমহাদেশে মাইলফলক নজির স্থাপন করেছেন। চন্দ্রিকা আমাকে বলেন, বর্তমান শাসনামলে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা ‘সম্পূর্ণতা’ পেয়েছে। কিন্তু তারা ম্যান্ডেলার ওই বিধানটিও এড়িয়ে চলছে। ‘তথ্য অধিকার’কে সংবিধানে স্বীকৃতি দিয়ে অবশ্য একটি নতুন অনুচ্ছেদ তারা যুক্ত করেছে, যা এই অঞ্চলে নতুন। তারা ২০১৬ সালে তথ্য অধিকার আইন করেছে।
সংবাদকর্মীদের বিরুদ্ধে রাজনীতিকদের তল্পিবাহক কিংবা দুর্নীতিগ্রস্ত হওয়ার অভিযোগ সেখানে মোটেই কম জোরালো নয়। কিন্তু তারা যে অনুকরণীয় অর্জনটা বাস্তবে করে দেখিয়ে চলছে, সেটা আমরা এখনো ভাবতে পর্যন্ত পারি না। কলম্বো ঘোষণাপত্রটি দাবির ফর্দ নয়, নিজেদের করণীয় আগে করে দেখানোরও একটি দলিল। নামকরণে তাই ‘সামাজিক দায়িত্বশীলতা’ও যুক্ত আছে। সম্পাদক পরিষদ নিজেদের অর্থায়নে প্রেস ইনস্টিটিউট গড়েছে, তারা জেলায় জেলায় নৈতিকতা বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। সম্পাদকেরা নিজেরা লিখিত আচরণবিধি তৈরি করেছেন। বাংলাদেশের মতো প্রেস কাউন্সিল থাকতে সম্পাদকেরাই নিজেরা উদ্যোগী হয়ে প্রেস ইনস্টিটিউটের আওতায় শ্রীলঙ্কা কলেজ অব জার্নালিজম এবং প্রেস কম্পলেইন্টস কমিশন করেছেন। কমিশনের আওতায় বিরোধ নিষ্পত্তি কাউন্সিল সক্রিয়। তারা তিরস্কার করছে। প্রতিবাদ ছাপাতে বাধ্য করছে। ইউরোপে এটা আছে। শ্রীলঙ্কা এশিয়ার প্রথম দেশ, প্রশংসনীয়ভাবে যারা এটা করেছে। সংবাদপত্রশিল্পই তহবিলের জোগান দিচ্ছে। এসবই বাংলাদেশ অনুসরণ করতে পারে।