পাসের হার কম থাকা ২৯ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের বেতন বন্ধের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। চলতি বছরের দাখিল পরীক্ষায় এ ২৯টি মাদরাসায় ফল বিপর্যয় হয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর ১০ শতাংশের কম শিক্ষার্থী এ পরীক্ষায় পাস করেছিলেন। এতে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের ভাবমুর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ফল বিপর্যয় হওয়ায় এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন কেনো বন্ধ করা হবে না তা জানতে চেয়ে প্রধানদের শোকজ করা হয়েছে। রোববার ওই ২৯জন প্রতিষ্ঠান প্রধানকে পাঠানো শোকজ নোটিশ প্রকাশ করা হয়েছে।
ফল বিপর্যয়ের মুখে প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে, দাখিল পরীক্ষায় গাজীপুরের কালীগঞ্জের ফুলাদি গাউছিয়া সুন্নিয়া দাখিল মাদরাসার ৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ, পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ার দারুল মুহাম্মদিয়া আইডিয়া দাখিল মাদরাসার ৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ, নওগাঁর পত্নিতলা ছোট মহারান্দি টেকনিক্যাল দাখিল মাদরাসার ১০ শতাংশ, একই উপজেলার নির্মল দারাজিয়া দাখিল মাদরাসার ৫ দশমিক ৮৮ শতাংশ, কিশোরগঞ্জের কটিয়াদি উপজেলার হাকিমিয়া হাবিবিয়া গাউস পাক (র.) মহিলা দাখিল মাদরাসার ৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ, নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার বিথী সিনিয়র ফাজিল মাদরাসার ৫৪ দশমিক ৫৬ শতাংশ, একই উপজেলার রাজাপুর সিদ্দিকীয়া দাখিল মাদরাসার ৪ দশমিক ৭৬ শতাংশ, যশোরে কেশবপুর উপজেলার ত্রিমোহনী দারুল ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার ৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছিলেন।
আর ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার হাসাননগর রহমানীয়া দাখিল মাদরাসার ৪ দশমিক ৫৫ শতাংশ, কুমিল্লা মনোহরগঞ্জ লালচাঁদপুর আজহারিয়া ফাজিল মাদরাসার ৫ শতাংশ, লক্ষ্মীপুরের কমলনগরের পশ্চিম জগবন্ধু শফিকগঞ্জ শফিকগঞ্জ বাজার দাখিল মাদরাসা ১০ শতাংশ, নোয়াখালী বেগমগঞ্জ ধীতপুর দারুল উলুম দাখিল মাদরাসার ৯ দশমিক ৩৮ শতাংশ, বরগুনার আমতলী উপজেলার উত্তর টেপুর এলাহিয়া দাখিল মাদরাসার ৭ দশমিক ১৪ শতাংশ, ভোলার কাউখালী উপজেলার পঞ্চগ্রাম সম্মিলনী ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসার ৯ দশমিক ০৯ শতাংশ, যশোর কেশবপুরের শ্রীফলা কালিয়ারহী দাখিল মাদারাসার ৯ দশমিক ০৯ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছিলেন।
আর বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার ফুলহাটা ফজলুল করিম দাখিল ৫ দশমিক ৫৬ শতাংশ, রংপুরের পীড়গাছার কান্দি আর আই দাখিল মাদরাসার ১০ শতাংশ, সিরাজগঞ্জ সদরের আজিজিয়া হাফেজিয়া দাখিল মাদরাসার ১০ শতাংশ, নওগাঁর পঞ্চপুর আলিম মাদরাসার ৯ দশমিক ০৯৫ শতাংশ, পত্নিতলা উপজেলার দিবার সিদ্দিকী নগর দাখিল মাদরাসা ৪ দশমিক ৩৫ শতাংশ, একই উপজেলার ফরিদপুর নেছারিয়া দাখিল মাদরাসার ৪ শতাংশ, একই উপজেলার হাট শাওলি ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসার ৪ দশমিক ৩৫ শতাংশ, টাঙ্গাইলের সখিপুর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ মোকছেদিয়া দাখিল মাদরাসার ৪ দশমিক ৩৫ শতাংশ, একই উপজেলার কচুয়া ওয়াজেদিয়া দাখিল মাদরাসার ৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ, রাজবাড়ীর পাংশার মাঝবাড়ি সিনিয়র এ এস এইচ আলিম মাদরাসার ৪ দশমিক ৭৬ শতাংশ, একই উপজেলার বাংলাদেশ হাট নেছারিয়া দাখিল মাদরাসার ৩ দশমিক ৮৫ শতাংশ, একই জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার নাটাপাড়া আবু জাফর দাখিল মাদরাসার ৭ দশমিক ১৪ শতাংশ, ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার জামেয়া ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসার ৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ এবং একই জেলার বোয়ালমারী উপজেলার হাবিহার নগর ফাজিল মাদরাসার ৪ দশমিক ৫৫ শতাংশ শিক্ষার্থী দাখিল পরীক্ষায় পাস করেছিলেন।
অধিদপ্তরের উপপরিচালক জাকির হোসাইন স্বাক্ষরিত শোকজ নোটিশে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের জানানো হয়েছে, মাদরাসাগুলোর কম পাসের হার এমপিও নীতিমালা পরিপন্থি। প্রতিষ্ঠানগুলো এ কর্মকাণ্ডে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে।
ওই প্রতিষ্ঠানগুলোর সব শিক্ষক-কর্মচারী এমপিও সাময়িকভাবে স্থগিত বা স্থায়ীভাবে বন্ধের ব্যবস্থা কেনো গ্রহণ করা হবে না তার জবাব ১৫ দিনের মধ্যে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে জমা দিতে শোকজ নোটিশে বলা হয়েছে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের।
শোকজ নোটিশগুলো দেখতে ক্লিক করুন :
শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে সয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক শিক্ষা ডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।