সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার এমপিওভুক্ত গোন্তা আলিম মাদরাসার অধ্যক্ষ টি আর আব্দুল মান্নান সনদপত্র অনুযায়ী ১৯৭৮ খ্রিষ্টাব্দে দাখিল পাস করেন । তার বয়স যখন মাত্র ১২ বছর। মাঝখানে ২ বছর পড়ালেখা বন্ধ রাখেন। এরপর ১৯৮২ খ্রিষ্টাব্দে আলিম পাস করেন।
১৯৮৪ খ্রিষ্টাব্দের অক্টোবরে ফাজিল পাস করলেও অধ্যক্ষ হিসেবে চাকরিতে যোগদান দেখানো হয়েছে ১৯৮৪ খ্রিষ্টাব্দের জানুয়ারি মাসের ১ তারিখে। অর্থাৎ ফাজিল পাস করার ৯ মাস আগেই তিনি অধ্যক্ষ।
এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে অধ্যক্ষ টি আর আব্দুল মান্নান বলেন, ১৯৭৮ খ্রিষ্টাব্দে দাখিল পাস করেন। তখন দাখিল পাস ছিলো ৭ম শ্রেণি পাসের সমমান। এর আগে আমার বিরুদ্ধে ১৭ বার তদন্ত হয়েছে। আপনি সংবাদ প্রকাশ করলে হয়তও আরেকবার তদন্তের সম্মুখীন হতে হবে, এর বেশিকিছু নয়।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুস সালাম বলেন, সংবাদের বস্তুনিষ্ঠটা থাকলে প্রতিবেদন করতে পারেন। অভিযুক্ত ব্যক্তি দোষী প্রমাণিত হলে আমরা উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবো।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও গোন্তা আলিম মাদ্রাসার সভাপতি সুইচিং মং মারমা বলেন, গোন্তা আলিম মাদরাসার অধ্যক্ষ টি আর আব্দুল মান্নানের পড়ালেখার সমস্ত সনদ ও চাকরির ইতিবৃত্ত খতিয়ে দেখতে হবে। যদি সত্যতা পাওয়া যায় বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে।