ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে চলমান যুদ্ধে ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী।
বুধবার (১১ অক্টোবর) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ সিনেট ভবন সংলগ্ন প্যারিস রোডে এ সংহতি সমাবেশ পালন করেন তারা।
এ সময় সংহতি সমাবেশে একাত্মতা পোষণ করেন পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সালেহ হাসান নকীব ও আরবি বিভাগের অধ্যাপক ড. ইফতেখারুল আলম মাসুদ।
এ সময় সমাবেশে ফিলিস্তিনের পতাকা, ঐতিহ্যবাহী ফিলিস্তিনি পোশাক কেফিয়্যে, বিভিন্ন স্লোগান সম্বলিত ব্যানার, যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতকে হুশিয়ারি দিয়ে প্ল্যাকার্ড ও ফেস্টুন নিয়ে শিক্ষার্থীদের সমাবেশ করেন এবং মিছিলে 'নারায়ে তাকবীর আল্লাহু আকবর', ‘লাব্বাইক লাব্বাইক, লাব্বাইক ইয়া আকসা’, ‘ইন্তিফাদা ইন্তিফাদা, জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ’ ‘ফিলিস্তিন মুক্তি পাক-ইসরায়েল নিপাত যাক’ 'ইসলামের শত্রুরা হুশিয়ার সাবধান' ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।
সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের বোটানি বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী মোসা. সায়েদা খাতুন বলেন, বছরের পর বছর নানাভাবে ইসরায়েলের কাছে নির্যাতিত হচ্ছে ফিলিস্তিনের জনগণ। তাদের স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকতে দিচ্ছে না ইসরায়েল। তাদের এমন কর্মকান্ডে পশ্চিমা দেশগুলো নীরব রয়েছে। সারা বিশ্বে যত মুসলিম দেশ আছে আমাদের উচিত এসময় ফিলিস্তিনদের পাশে দাঁড়ানো উচিত। ফিলিস্তিনের ওপর সব নির্যাতনের অবসান ঘটিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে মর্যাদা দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।
সংহতি জানিয়ে ছাত্র ফেডারেশনের শাখা সভাপতি রায়হান আলী বলেন, শুধু ফিলিস্তিন নয় সকল মুসলিমের পক্ষে আমাদের অবস্থান। পশ্চিমদের জঙ্গি দোষারোপ পুরাতন অভ্যাস। ব্রিটিশদের জুলুমের বিরুদ্ধে বাঙালিরা যখন ঐক্যবদ্ধ হয়েছে তখনো তারা এমন খেলা খেলেছে। আমরা মজলুমদের পক্ষে ছিলাম আছি আগামীতেও থাকব। ফিলিস্তিনের জন্য সফলতা কামনা করছি।
সমাবেশে একাত্মতা পোষণ করে আরবী বিভাগের অধ্যাপক ইফতেখারুল আলম মাসুদ বলেন, আজ আমরা মানবতার পক্ষে দাঁড়িয়েছি। ১৯৪৮ খ্রিষ্টাব্দ থেকে তারা ফিলিস্তিনের উপর অত্যাচার নির্যাতন করে আসছে। এমনকি রোজার সময়েও তারা আক্রমণ করে নিজেদের শক্তিশালী প্রমান করতে চায়। মুসলিমদের সকল কিছুর বিরুদ্ধে এক সাথে কথা বলতে হবে। হামাস বৈধভাবে জনগণকে প্রশিক্ষণ দিয়ে সংগ্রাম করে যাচ্ছে। আমরা তাদের পাশে আছি। ঐতিহাসিকভাবে বাংলাদেশ ফিলিস্তিনের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। আমরা ফিলিস্তিনের পক্ষে পূর্ণ সংহতি জানাই এবং দোয়া করি।
সমাবেশে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সালেহ হাসান নকীব বলেন, ফিলিস্তিনের এই সংঘাত জালেম এবং মজলুমের সংঘাত। শুধু ধর্মীয় আবেগ দিয়ে সকল সমস্যার সমাধান করা যায় না। আমাদের যুগোপযোগী ভাবে নিজেদের সকল কিছুর জন্য প্রস্তুত হতে হবে। যুক্তরাষ্ট্র ইজরাইলের প্রশ্নে ভীষণভাবে দোষী। পশ্চিমে আমার দীর্ঘদিন অবস্থানে তাদের আচরণ ও অভ্যাস সবই আমার ভাল করে জানা। আমি বলতে চাই ফিলিস্তিন ইস্যুতে আমাদের অবস্থান ন্যায় সংগত ও ন্যায্য। শুধু রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় নয় সারা দেশে এই বিষয়টি নিয়ে কথা হওয়া দরকার।