জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) আন্তঃবিভাগ ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সঙ্গে লোকপ্রশাসন বিভাগের খেলা চলাকালীন এই ঘটনার সূত্রপাত হয়। এতে বাংলা বিভাগের ১৩ শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়েছে। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিস বরাবর দুই বিভাগের পক্ষ থেকে পৃথক দুটি অভিযোগপত্র দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের কেরানীগঞ্জের খেলার মাঠে প্রথম এবং খেলা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে ক্যাম্পাসে ফেরার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে দ্বিতীয় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, খেলা চলাকালীন বাংলা বিভাগের সাত নম্বার জার্সি পরিহিত খেলোয়াড় সাকিব লোকপ্রশাসন বিভাগের মাসুদকে ট্যাকেলের সময় ফাউল হয়। এতে ক্ষীপ্ত হয়ে লোকপ্রশাসন বিভাগের মাসুদ রানা সাকিবকে মাঠেই মারধর করে। এ ঘটনায় বাংলা বিভাগ ও লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। তাৎক্ষণিকভাবে দুই বিভাগের শিক্ষক ও খেলা পরিচালনাকারী পরিস্থিতি শান্ত করেন।
পরে খেলা শেষে বাংলা বিভাগের বাসটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে এসে পৌঁছালে লোকপ্রশাসন বিভাগের মাসুদসহ কিছু শিক্ষার্থী বাসে উঠে বাংলা বিভাগের ছাত্রীদের টেনে হিঁচড়ে নামিয়ে ছাত্রদের মারধর শুরু করে।
বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী জয়ী দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, বাস মেইন গেটে আসার পরে এক ভাই আমাদেরকে ধাক্কা দিয়ে ভেতরে যেতে বলে আর বাসের দরজা বন্ধ করে দেয়। তারপর সামি ভাই ও জুনাইদকে উনি মারতে শুরু করে। তারপর বাসের নিচে নিয়ে গিয়েও মারধর শুরু করে।
এ ঘটনায় বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মিল্টন বিশ্বাসের মাধ্যমে ফুটবল টিমের ম্যানেজার ড. রাজিব মণ্ডল উপাচার্য বরাবর অভিযোগ জমা দেন।
অভিযোগে বলা হয়, লোকপ্রশাসন বিভাগের ১২তম ব্যাচের ছাত্র মাসুদ রানার নেতৃত্বে, ১২তম ব্যাচের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের ছাত্র এম আই মারুফসহ আরো অনেকে বাংলা বিভাগের ছাত্র-ছাত্রীদের উপর হামলা চালায় এবং এতে বাংলা বিভাগের ১৩ জন শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়েছে।জানা গেছে, অভিযুক্ত মাসুদ রানা শাখা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক এস.এম আকতার হোসাইনের একনিষ্ঠ অনুসারী। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর লোকপ্রশাসন বিভাগের ১২ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মাসুদ রানাও লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।
জানতে চাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড.মোস্তফা কামাল দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, এ ঘটনায় দুইটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। দোষীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি দেয়া হবে।