সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সরব হচ্ছেন ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর পালিয়ে যাওয়া সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। গত কয়েক দিনে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে বেশ কয়েকটি পোস্ট দিয়েছেন তিনি।
এরমধ্যে সবচেয়ে আলোচিত হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এবং মানবাধিকার সংস্থা আইন ও শালিস কেন্দ্রের চেয়ারপারসন জেড আই খান পান্নার বিরুদ্ধে মামলা নিয়ে আসাদুজ্জামান খান কামালের পোস্ট। সেখানে তিনি এ মামলার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার আহ্বান জানান।
আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক এই মন্ত্রী পোস্টে লেখেন, ‘#মিথ্যা মামলার সমালোচনা করায়, ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে থাকা একজন সিনিয়র আইনজীবী বীর মুক্তিযোদ্ধাকে দেয়া হলো মিথ্যা #মামলা!’
এ বিষয়ে প্রতিবাদের আহবান জানিয়ে তিনি আরো বলেন, ‘সবাই #অবৈধ সরকারের #স্বৈরাচারী আচরণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করুন।’
এ ছাড়াও আসাদুজ্জামান খান কামালের ফেসবুক ঘেঁটে দেখা যায়, পালিয়ে যাওয়ার পর তাঁর প্রথম পোস্ট ছিল ২৯ সেপ্টেম্বর। আর এর আগের শেষ পোস্ট ছিল গত ১৪ জুলাই। অর্থাৎ সরকার পতনের ৫৪ দিন পর ফেসবুকে প্রথম পোস্ট দেন আসাদুজ্জামান খান কামাল। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিনে তিনি ওই পোস্ট দেন। সেখানে তিনি শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা জানান। এরপরের পোস্ট করেন গত ১৮ অক্টোবর শেখ রাসেলের জন্মদিনে। গত চার দিনে চারটি পোস্ট করেছেন আসাদুজ্জামান খান কামাল। শেখ রাসেল, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, জেড আই খান পান্না ও বিসিএস পুলিশের কুচকাওয়াজ স্থগিত নিয়ে এসব পোস্ট করেন তিনি।
সবশেষ আসাদুজ্জামানের পেজ থেকে একটি বেসরকারি টেলিভিশনের খবর শেয়ার করা হয়। খবরটি ছিল, বিসিএস পুলিশের কুচকাওয়াজ স্থগিতের। এই খবরটি শেয়ার করে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পেজ থেকে লেখা হয়, নির্লজ্জ মিথ্যাচার!
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নজিরবিহীন দমন-পীড়ন চালানো হয় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামালের নির্দেশে। তাঁর বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে অর্ধশতাধিক মামলাও হয়েছে। বর্তমানে তিনি কলকাতায় আছে বলে জানা যায়।