চলমান অমর একুশে বইমেলায় আদর্শ প্রকাশনীকে স্টল বরাদ্দ না দেয়ার সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে। রিটে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক ও মেলার আয়োজক কমিটির সভাপতিসহ চারজনকে বিবাদী করা হয়েছে।
হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী মো. মাহবুবুর রহমান রিটটি দায়ের করেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রিটের পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার অনিক আর হক বিষয়টি নিশ্চিত করেন। ব্যারিস্টার অনীক আর হক বলেন, ‘আগামী সপ্তাহে রিট আবেদনটির ওপর শুনানি হতে পারে।’ তিনি জানান, রিট আবেদনে আদর্শ প্রকাশনীকে স্টল বরাদ্দ না দেওয়া কেন অবৈধ ঘোষণা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারির আরজি জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রকাশনীটিকে স্টল বরাদ্দ দিতে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
রিট আবেদনে বলা হয়েছে, শুধু একটি বইয়ের জন্য কাগজে-কলমে মেলায় পুরো প্রকাশনীর অংশগ্রহণ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অথচ সে বইটি ব্যান্ড বা ব্ল্যাকলিস্টেড নয়। তাদের এমন সিদ্ধান্ত ‘বাংলা একাডেমি আইন-২০১৩’ অনুযায়ী কোনো বৈধতা নেই। একই সঙ্গে প্রতিবছর একাডেমি থেকে যে নীতিমালা করা হয়, তারও ব্যত্যয় ঘটিয়ে সিদ্ধান্ত দিয়েছে বাংলা একাডেমি। তাদের এমন সিদ্ধান্ত সংবিধানে প্রদত্ত বাক্স্বাধীনতা পরিপন্থি।
রিটকারীরা জানান, অদ্ভুত ব্যাপার হলো, এবার আদর্শ প্রকাশনীকে পাঠানো চিঠিতে স্টল বরাদ্দ না দেওয়ার কোনো কারণ দর্শানোরও প্রয়োজন মনে করেনি। বাংলা একাডেমি স্রেফ জানিয়ে দিয়েছে, সব দিক বিবেচনা করে অমর একুশে বইমেলা-২০২৩ পরিচালনা কমিটি সর্বসম্মতিক্রমে আপনাদের প্রকাশনা সংস্থা ‘আদর্শ’-এর অনুকূলে স্টল বরাদ্দ প্রদান না করার আগের সিদ্ধান্ত বহাল রেখেছে।
শুধু তা-ই নয়, বইটি বাংলাদেশের অনলাইনে বই বিক্রির বৃহত্তম প্ল্যাটফর্ম রকমারি ডটকম থেকেও কোনো ধরনের ঘোষণা ছাড়াই সরিয়ে ফেলা হয়েছে। এদিকে বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির মাধ্যমে বইটিকে ৪৬তম কলকাতা আন্তর্জাতিক পুস্তকমেলারও বাইরে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে।