বন্ধ থাকা মিল চত্বরে হচ্ছে কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পাস - দৈনিকশিক্ষা

বন্ধ থাকা মিল চত্বরে হচ্ছে কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পাস

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি |

এক দশকেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ থাকা কুড়িগ্রাম টেক্সটাইল মিলস্ চত্বরে কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পাস হতে যাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের আবেদনের প্রেক্ষিতে এ বিষয়ে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের অনুমোদন পাওয়া গেছে। সবকিছু ঠিক থাকলে টেক্সটাইল মিলস্ চত্বরটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পাস হতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন উপাচার্য (ভিসি) ড. এ.কে.এম জাকির হোসেন।

ভিসি বলেন, কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করার জন্য আমরা বন্ধ থাকা কুড়িগ্রাম টেক্সটাইল মিলসের ক্যাম্পাস চেয়েছি। আমাদের প্রস্তাব বিটিএমসির বোর্ড মিটিংয়ে অনুমোদন হওয়ার পর সেটি মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। মন্ত্রণালয় সেটি অনুমোদন করেছে বলে জানতে পেরেছি। এখন ইউজিসি অনুমতি দিলে আমরা টেক্সটাইল মিলস্ চত্বরকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পাস হিসেবে ব্যবহার করবো।

তিনি আরও বলেন, আমরা অস্থায়ী ভিত্তিতে টেক্সটাইল মিলস্ চত্বরটি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস হিসেবে ভাড়া নেবো। এখন ভাড়া নির্ধারণসহ ইউজিসি অনুমোদন দিলে আমরা কার্যক্রম শুরু করবো।

১৯৮৭ খ্রিষ্টাব্দে বাংলাদেশ সরকার কুড়িগ্রাম টেক্সটাইল মিলস্ প্রতিষ্ঠা করে। বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস্ কর্পোরেশনের (বিটিএমসি) অন্তর্ভুক্ত রাষ্ট্রায়ত্ব এ প্রতিষ্ঠানটি কুড়িগ্রাম পৌর এলাকায় জেলা শহর থেকে দক্ষিণে নাজিরা এলাকায় কুড়িগ্রাম-চিলমারী মহাসড়কের পাশেই অবস্থিত। এক সময় কর্মমুখর থাকলেও লাগাতার লোকসানের মুখে পড়ে মিলটিতে ২০১১ খ্রিষ্টাব্দে উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। সেই থেকে মিলটির কার্যক্রম বন্ধ। বিটিএমসির কর্মকর্তা হিসেবে মিলটিতে বর্তমানে একজন ব্যবস্থাপকসহ কয়েকজন সদস্য কর্মরত রয়েছেন। তবে বেশ কয়েক বছর থেকে এর ভেতরের ভবনগুলো আবাসিক হিসেবে ভাড়া দেয়া হচ্ছে।

 

১৫ একরেরও বেশি আয়তনের এলাকাজুড়ে সীমানা প্রাচীর ঘেরা এ মিলের ক্যাম্পাসটি সবুজে ভরা। এর ভেতরে হেরিংবন্ড সড়ক, মাঠ, বড় বড় গাছপালাসহ পুকুর রয়েছে। এছাড়াও বাগান করার জন্য পর্যাপ্ত জায়গাও রয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পাসের জন্য টেক্সটাইল মিলস্ চত্বরটির উপযুক্ততা তুলে ধরে ভিসি ড. জাকির হোসেন বলেন, টেক্সটাইল মিলস্ চত্বরটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের জন্য উপযুক্ত হবে। এটি একটি ভালো ক্যাম্পাস। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তাসহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সেখানে বেশ কিছু বিষয় রয়েছে। কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের রিসার্চের জন্য মাঠের প্রয়োজন। টেক্সটাইল মিলস্ চত্বরে মাঠ, গাছপালা ও পুকুর রয়েছে। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা ও অন্যান্য কার্যক্রমের জন্য এটি ভালো হবে। এখন ইউজিসি অনুমোদন দিলে এবং টেক্সটাইল ক্যাম্পাসটি প্রয়োজনীয় সংস্কারের বরাদ্দ দিলে আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যক্রম শুরু করবো।

আগামী ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তির উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে জানিয়ে ভিসি বলেন, আমরা শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য ইউজিসির কাছে আবেদন জমা দিয়েছি। সে অনুযায়ী কোর্স কারিকুলাম, কন্টেন্ট জমা দিয়েছি। এখন ইউজিসি অনুমোদন দিলে আমরা ভর্তি কার্যক্রম শুরু করতে পারবো।

তিনি বলেন, আমরা একটা ভালো ক্যাম্পাস পাচ্ছি। শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং ইউজিসি মিলে একটি কমিটি করা হয়েছে। নতুন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর একাডেমিক কার্যক্রম কিভাবে চলবে সে ব্যাপারে তারা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত দেবেন। তারা আমাকে সিদ্ধান্ত দিলে আমি কার্যক্রম শুরু করতে পারবো।

শিক্ষার্থী ভর্তির অনুমতি পেলে কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে দুটি বিষয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। প্রতিটি বিষয়ে ৩০ টি করে আসন থাকতে পারে। ভিসি বলেন, প্রথম বছর আমরা ফিশারিজ এবং এগ্রিকালচার এই দুটি বিষয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি করবো। পরের বছর আসন সংখ্যা ও বিষয় বাড়ানো হবে।

এর আগে ২০২১ খ্রিষ্টাব্দের ১৫ সেপ্টেম্বর সংসদে কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় বিল পাস হয়। এতে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় কৃষি বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয়ে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর পর্যায়ে শিক্ষাদান এবং গবেষণা ও প্রশিক্ষণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। শিক্ষা সংক্রান্ত কার্যক্রমের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় টেকসই কৃষি প্রযুক্তি ও উচ্চ ফলনশীল কৃষিজ দ্রব্যের প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করবে।

৬ষ্ঠ ও ৮ম শ্রেণির বাদপড়া শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশনের সুযোগ - dainik shiksha ৬ষ্ঠ ও ৮ম শ্রেণির বাদপড়া শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশনের সুযোগ ‘ভুয়া প্রতিষ্ঠাতা’ দেখিয়ে কলেজ সভাপতির প্রস্তাব দিলেন ইউএনও - dainik shiksha ‘ভুয়া প্রতিষ্ঠাতা’ দেখিয়ে কলেজ সভাপতির প্রস্তাব দিলেন ইউএনও বেরোবি শিক্ষক মনিরুলের নিয়োগ বাতিল - dainik shiksha বেরোবি শিক্ষক মনিরুলের নিয়োগ বাতিল এমপিও না পাওয়ার শঙ্কায় হাজারো শিক্ষক - dainik shiksha এমপিও না পাওয়ার শঙ্কায় হাজারো শিক্ষক কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক - dainik shiksha কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক জাল সনদে শিক্ষকতা করা আরো ৩ জন চিহ্নিত - dainik shiksha জাল সনদে শিক্ষকতা করা আরো ৩ জন চিহ্নিত এসএসসি ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দের ফরম পূরণের পূর্ণাঙ্গ বিজ্ঞপ্তি দেখুন - dainik shiksha এসএসসি ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দের ফরম পূরণের পূর্ণাঙ্গ বিজ্ঞপ্তি দেখুন কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0045690536499023