নৈতিক স্খলনের অভিযোগে ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলামকে চাকরিচ্যুত করা হয় । বরখাস্তের বিরুদ্ধে ওই বছরই তিনি রিট করেন। গত ৪ ফেব্রুয়ারি মনিরুলকে স্বপদে বহাল করতে ববি উপাচার্যকে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দে ববির উপাচার্য ছিলেন ড. ইমামুল হক। ওই সময়ে মনিরুলের স্ত্রী বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার এবং ঢাকা শিক্ষাবোর্ডে কর্মরত ছিলেন। বিতর্কিত ক্যমরিয়ানে চাকরির অভিজ্ঞতা দেখিয়ে ববিতে চাকরি বাগিয়েছিলেন মনিরুল।
জানা যায়, ববির বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ছাদিকুল আরেফিনসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার দায়ে রুল জারি করা হয়েছে। চাকরিচ্যুত রেজিস্ট্রার মো. মনিরুল ইসলামকে স্বপদে বহাল না করায় বিচারপতি বিশ্বমাধব চক্রবর্তী এবং বিচারপতি মো. আলী রেজার দ্বৈত বেঞ্চ গত ৯ আগস্ট এই রুল জারি করেন।
অন্য যে দুজনের বিরুদ্ধে রুল জারি করা হয়েছে তাঁরা হলেন ববির ট্রেজারার ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া এবং ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার সুপ্রভাত হালদার। এ আদেশের সার্টিফায়েড কপি পাওয়ার তথ্য মঙ্গলবার নিশ্চিত করেছেন রিট আবেদনকারী মনিরুল ইসলাম।
আরও পড়ুন : বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মনিরুলের শাস্তি বহাল
চাকরিচ্যুত রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলামের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. সালাউদ্দিন দোলন সাংবাদিকদের বলেন, গত ৮ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের এক আদেশে রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলামকে স্বপদে বহালের নির্দেশ দেওয়া হয়। এ আদেশ কেন ববি উপাচার্য, ট্রেজারার ও রেজিস্ট্রার লঙ্ঘন করছেন তা জানতে রুল জারি করেন আদালতের দ্বৈত বেঞ্চ। তা ছাড়া হাইকোর্টের আদেশ যে লঙ্ঘন করা হয়েছে, এর দায়ে কেন উপাচার্যসহ তিনজনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, চার সপ্তাহের মধ্যে এর জবাব চাওয়া হয়।
অ্যাডভোকেট সালাউদ্দিন দোলন আরও বলেন, চাকরিচ্যুত রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলামকে স্বপদে বহালের উচ্চ আদালতের আদেশের পর গত ১১ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পেছনের তারিখ দেখিয়ে তাঁকে যে সাময়িক বরখাস্ত এবং শোকজ নোটিশ দিয়েছে, তাও ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেছেন আদালত।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া বলেন, চাকরিচ্যুত রেজিস্ট্রারের স্বপদে বহাল হওয়ার বিষয়ে উচ্চ আদালত একটি আদেশ দিয়েছেন বলে তিনি শুনেছেন। তবে রুল জারির নির্দেশনা অফিশিয়ালি তিনি এখনো হাতে পাননি।
ববি উপাচার্য ড. ছাদেকুল আরেফিনকে এ বিষয়ে জানতে চেয়ে ফোন দেওয়া হলে তিনি রিসিভ করেননি।