সদ্য প্রকাশিত উচ্চ মাধ্যমিক (এইচএসসি) এর ফলাফলকে চ্যালেঞ্জ করে বরিশাল বোর্ডের ১২ হাজার ৩১৪ জন পরীক্ষার্থী তাদের ৩৬ হাজার ৪১৩টি খাতা পুন:নিরীক্ষণের জন্য আবেদন করেছেন। এর মধ্যে অন্যান্য বোর্ডের ন্যায় বরিশাল বোর্ডেও ইংরেজির দুটি পত্রের খাতা পুন:নিরীক্ষণের আবেদন বেশি পড়েছে। এ দুটি পত্রের জন্য আবেদনের সংখ্যা ৩ হাজার ৯০৪ জন।
বরিশাল মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের ওয়েব সাইড থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী মোট ১৩টি বিষয়ে খাতা পুনঃনিরীক্ষণের জন্য আবেদন করা হয়েছে। এর মধ্যে ইংরেজি প্রথম পত্রের জন্য সর্বোচ্চ ২ হাজার ২৯৯টি খাতা পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করা হয়েছে। এছাড়া ইংরেজি দ্বিতীয় পত্রের জন্য আবেদন করেছেন ১ হাজার ৬০৫ জন। বাংলা প্রথম পত্রের জন্য ৯৯৬ জন, দ্বিতীয়পত্রের জন্য ৭১২ জন, পদার্থ বিজ্ঞানে প্রথম ও দ্বিতীয় পত্রের জন্য ২২ জন, উচ্চতর গণিত প্রথম পত্রে ৪৪৫ জন এবং দ্বিতীয় পত্রের জন্য ৩২০ জন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ে ৭৪৭ জন, অর্থনীতি দুটি পত্রের জন্য আবেদন করেছেন ৯৮ জন, পদ্যার্থ বিদ্যা প্রথম পত্রে ৭৩৬ জন এবং দ্বিতীয় পত্রের জন্য ৫২৩ জন, রসায়ন প্রথম পত্রের জন্য ৬২৪ জন, দ্বিতীয় পত্রের জন্য ৪৪৫ জন, জীববিদ্যা প্রথম পত্রের জন্য ৬০৭ জন এবং দ্বিতীয় পত্রের জন্য ৪২৮ জন এবং সিভিক্স এন্ড গুড গভর্নেস প্রথম পত্রে ১৬৯ জন এবং দ্বিতীয় পত্রের জন্য ৯৪ জন আবেদন করেছেন।
এর বাইরে ইসলামের ইতিহাস ও সাংষ্কৃতি বিষয়ের দুটি পত্রে ৮৮ জনম, সমাজ কর্ম প্রথম ও দ্বিতীয় পত্রের জন্য ১১৪ জন, কৃষি শিক্ষা প্রথম ও দ্বিতীয় পত্রের জন্য ৬৪ জন সহ মোট ১২ হাজার ৩১৪ জন আবেদন করেছেন ৩৬ হাজার ৪১৩টি খাতা পুনঃনিরীক্ষনের জন্য।
বরিশাল মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক মো. আনোয়ারুল আজিম বলেন, যারা আবেদন করেছেন তার মধ্যে বেশিরভাগ পরীক্ষার্থীই এইচএসসিতে উত্তির্ণ হয়েছে। এছাড়া দুই-এক বিষয়ে ফেল করা পরীক্ষার্থীও রয়েছে। যথা সময়ে পুন নিরীক্ষনের ফলাফল প্রকাশ করা হবে।
তিনি বলেন, এবার ইংরেজি বিষয়ে ফলাফল একটি খারাপ হয়েছে। সঠিক ভাবে খাতা মুল্যায়নের কারনে অনেক শিক্ষার্থী পাশ করতে পারেনি। তার পরেও পুনঃনিরিক্ষনের ক্ষেত্রে খাতায় দেয়া নম্বরের বিষয়টি ভালোভাবে যাচাই বাছাই করে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।