নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার পাঁচবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমানের ওপর হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনার দাবিতে একাট্টা হয়েছে শিক্ষক সমাজ।
বুধবার (৩০ নভেম্বর) উপজেলার ৫২টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ৩৭টি মাদরাসার শিক্ষক-কর্মচারী গন প্রতিষ্ঠানের সকল ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ করে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে। উপজেলা পরিষদ চত্বরে মাধ্যমিক শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদের ব্যানারে ওই মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। শিক্ষক সমিতির সভাপতি ওয়াছেক আলী সোনারের সভাপতিত্বে আয়োজিত সভায় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানগণ তাদের বক্তব্যে শিক্ষক হামলায় অভিযুক্ত বাচ্চু মেম্বারসহ এজাহার ভুক্ত নয় আসামিকে দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানায়।
একই সাথে নিয়োগ বাণিজ্য ছাড়া বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি অন্য কোন উপকারে আসে না অভিযোগ করে তারা বলেন, শিক্ষিত শিক্ষক সমাজকে পরিচালনা কমিটির নামে অশিক্ষিত লোকেরা নানা ভাবে হয়রানি করে থাকে। তাই পরিচালনা কমিটি গঠনে শিক্ষিতদের অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে নতুন পরিচালনা আইন পাশের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। শিবদাস সান্যাল পরিচালিত বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ইউএনও ইশরাত ফারজানা, অফিসার ইনচার্জ শাহরিয়ার খান, প্রধান শিক্ষক গৌরপদ ম-ল, ফাদার ওয়াল্টার রোজারিও, ইস্কেন্দার মির্জা, ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম হোসেন প্রমুখ।
অফিসার ইনচার্জ শাহরিয়ার খান বলেন, শিক্ষকের ওপর হামলায় অভিযুক্তদের গ্রেফতারের সর্বোচ্চ আন্তরিক পুলিশ। তাদের গ্রেফতারের জন্য সর্বক্ষণ অভিযান অব্যাহত রয়েছে। উল্লেখ্য, গত ২২ নভেম্বর কমিটির গঠন নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে স্থানীয় ইউপি সদস্য বাচ্চু মেম্বারসহ ৯ জন বিদ্যালয়ে আসার পথে পাঁচবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমানের উপর হামলা চালিয়ে তার বা হাত, ডান পা ভেঙ্গে দিয়েছেন। তিনি বর্তমানে ঢাকা র্যাব এইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। এ ঘটনায় মিজান মাস্টারের ভাতিজা মিলন হোসেন বাদী বাচ্চু মেম্বারকে এক নম্বর করে নয় জনের নামে মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় ছয় নম্বর আসামি রাশিদুলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অন্য আসামিরা পলাতক রয়েছেন।