শিক্ষা অডিট অধিদপ্তরের বার্ষিক প্রতিবেদনে গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) নানা বিষয়ে আর্থিক অনিয়মের বিষয় উঠে এসেছে। এতে ২০২০-২১ খ্রিষ্টাব্দের আর্থিক বছরে ৩ কোটি ৯ লাখ ৬৭ হাজার ৫৩ টাকা অডিট আপত্তি দেখানো হয়েছে। সম্প্রতি ওই দপ্তরের উপ-পরিচালক সুনীল কুমার সিংহের স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে বিষয়টি জানানো হয়।
এতে মোট ৭টি বিষয়ে অডিট আপত্তির কথা তুলে ধরে নিষ্পত্তি সাপেক্ষে বাতিলের কথা জানানো হয়। প্রকল্পের মেয়াদ শেষে শর্ত মোতাবেক গবেষণা কর্মের রিপোর্ট দাখিল ও অগ্রিম সমন্বয় না করায় আর্থিক ক্ষতি হিসেবে ১ কোটি ৩ লাখ ৩৫ হাজার টাকা, অভ্যন্তরীণ সড়ক নির্মাণে উদ্ধারকৃত স্যালভেজ ইটের মূল্য বাদ না দিয়ে ঠিকাদারকে বিল পরিশোধ করায় আর্থিক ক্ষতি ১ লাখ ৭৬ হাজার ৮২৩ টাকা (প্রমাণক উপস্থাপনায় এটি নিষ্পত্তি করা হয়েছে), বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন উৎস হতে প্রাপ্ত আয় যথাযথ হিসাবে অন্তর্ভুক্ত/বাজেটে প্রদর্শন না করায় আর্থিক ক্ষতি ১ কোটি ৭৬ লাখ ৩২ হাজার টাকা, মূল ভবনের নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার পূর্বেই ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণের কাজ শুরু করায় প্রাপ্য না হলেও মবিলাইজেশন ও সাইট ক্লিনিংয়ের বিল পরিশোধে আর্থিক ক্ষতি ৫ লাখ ২৬ হাজার ৭৪৬ টাকা, ছাদের ঢালাই কাজে ব্যবহৃত এমএস রডের আয়তন বাদ না দিয়ে ঠিকাদারকে বিল পরিশোধ করায় আর্থিক ক্ষতি ৯ লাখ ১৩ হাজার ৫০০ টাকা, পিপিআর ২০০৮ এর বিধি লঙ্ঘন করে অনিয়মিতভাবে আরএফকিউ পদ্ধতিতে বার্ষিক সিলিং অপেক্ষা অতিরিক্ত ব্যয় ১৪ লাখ ৭৪ হাজার ২৬২ টাকা, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের প্রদানকৃত অগ্রিমের টাকা সমন্বয় না করায় ৮৫ হাজার ৫৪৫ টাকা আপত্তি দেখানো হয়েছে।
এ বিষয়ে প্রকল্প পরিচালক তুহিন মাহমুদ বলেন, প্রতিটি জিনিসের সমাধান রয়েছে। উত্থাপিত অডিট আপত্তিরও সমাধান জরুরি। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সবাইকে দ্রুত বসে নিষ্পত্তি করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী ইঞ্জিনিয়ার এস্কান্দার আলী বলেন, বিষয়গুলো প্রকল্প পরিচালক ভালো জানেন। আর টেন্ডার বিষয় আমাদের নিয়ন্ত্রণে নয়। রেজিস্ট্রার মো. দলিলুর রহমান বলেন, যেহেতু অর্থ সংক্রান্ত বিষয়, তাদের দায়িত্বে বিষয়টি নিষ্পত্তি করার বিষয়ে বলা হয়েছে। অডিট আপত্তি নিষ্পত্তির বিষয়ে অর্থ দপ্তরের পরিচালক মো. মোস্তাক আলী বলেন, আমরা বিষয়টি নিয়ে আমরা অডিট অধিদপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি।