দৈনিক শিক্ষাডটকম ডেস্ক : বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্র পুতুল সরকারের রাজত্ব দেখতে চায় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, সেটা না হলে কোনো নির্বাচনই তাদের কাছে সুষ্ঠু না।
সোমবার (১৮ মার্চ) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন জয়।
পোস্টে তিনি লিখেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের মতে, বাংলাদেশে যদি তাদের 'পাপেট' সরকার ক্ষমতায় না আসে, কোনো নির্বাচনই ত্রুটিমুক্ত নয়!’
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের দুই নির্বাচনি পর্যবেক্ষক সংস্থা ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউট (এনডিআই) এবং ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউটের (আইআরআই)-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অতীতের তুলনায় এবার বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনে সহিংসতা কম হয়েছে। তবে কয়েকটি দলের অংশগ্রহণ না করা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা খর্ব হওয়ায় নির্বাচনের মান ক্ষুণ্ন হয়েছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
যদিও এরই মধ্যে দেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়েছে বলে দাবি করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, এনডিআই এবং আইআরআইয়ের দেয়া রিপোর্টে কিছু যায় আসে না।
প্রতিবেদনে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপির সংহিসতার বিষয়টি যুক্ত করা উচিত ছিল বলে মনে করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
গত ৮ থেকে ১১ অক্টোবর বাংলাদেশে নির্বাচনের আগের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে আসে যুক্তরাষ্ট্রের সংস্থা এনডিআই এবং আইআরআই-এর যৌথ প্রতিনিধিদল। বিএনপি-আওয়ামী লীগ, ইসি, সুশীল সমাজসহ বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তারা। দেশে ফিরে সংস্থা দুটি জানায়, নির্বাচনের ফলাফল পর্যবেক্ষণ নয় বরং সহিংসতা পর্যবেক্ষণে ৫ সদস্যের বিশেষজ্ঞ দল পাঠাবে সংস্থা দুটি।
নির্বাচনের প্রায় আড়াই মাস পর রোববার (১৭ মার্চ) নির্বাচন কেন্দ্রিক সহিংসতা পর্যবেক্ষণের চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে টেকনিক্যাল অ্যাসেসমেন্ট মিশন। ২৫ পৃষ্ঠার এই প্রতিবেদনে ভবিষ্যত নির্বাচনে সহিংসতা কমানোর জন্য বিষয়ভিত্তিক বিশ্লেষণ তুলে ধরা হয়েছে। পাশাপাশি বেশ কিছু সুপারিশ করেছে দুই মার্কিন সংস্থা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অন্য নির্বাচনের তুলনায় ৭ জানুয়ারির নির্বাচন ঘিরে সহিংসতা কম হয়েছে। শারীরিক ও অনলাইনে সহিংসতা কম হওয়ার পেছনে দেশজুড়ে দলীয় প্রতিযোগিতার অনুপস্থিতি এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থার প্রতি রাষ্ট্রের কড়া নজরকে দেখছে এনডিআই ও আইআরআই। এক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের পদক্ষেপ এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহায়তার কথা উল্লেখ রয়েছে প্রতিবেদনে।
একই প্রতিবেদনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আক্রমণাত্মক পোস্ট নিয়েও নিজেদের পর্যবেক্ষণের ফলাফল প্রকাশ করেন তারা। যাতে দেখা যায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগকে লক্ষ্য করে সবচেয়ে বেশি আক্রমণাত্মক পোস্ট করা হয়েছে। যার বেশিরভাগই করেছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা।