বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) সমর্থকদের মারধর ও গেঞ্জি পোড়ানোর ঘটনা ঘটেছে। গতকাল দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আব্দুল জব্বার মোড় ও কে. আর মার্কেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে দুপুর ৩টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
জানা যায়, সরকারের পদত্যাগ ও সংসদ বাতিল, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন, খালেদা জিয়ার মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে প্রেরণের একদফা দাবিতে ময়মনসিংহ থেকে কিশোরগঞ্জ অভিমুখে বিএনপি’র রোডমার্চ শুরু হয় দুপুরে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, রোডমার্চের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগদান ও রোডমার্চে অংশগ্রহণের জন্য বিএনপি সমর্থকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ রাস্তা ব্যবহার করে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ সেখানে আগে থেকেই অবস্থান নেয়। বিএনপি সমর্থক সন্দেহ হলেই শুরু করে মারধর। যেকোনো মোটরসাইকেল গেলে থামিয়ে চেক করে মোবাইল ফোন, বিএনপি সমর্থিত কিছু পেলেই মারধর করে তারা। রোডমার্চ উপলক্ষে তৈরি করা গেঞ্জি, ক্যাপ ও প্লাকার্ড দেখলেও মোটরসাইকেল থেকে নামিয়ে মারধর করে গেঞ্জি পোড়ানো হয়। তবে অনেক সাধারণ যাত্রীও এ সময় ভোগান্তির শিকার হয়েছে বলে জানান তারা। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মো. আতিকুর রহমান এ বিষয়ে বলেন, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের একটি গাড়ির বহর বিশ্ববিদ্যালয় দিয়ে প্রবেশ করলে ছাত্রলীগ তাদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় গাড়ি বহর থেকে ৪ থেকে ৫টি গাড়ি ভাঙচুর করা হয় জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের যুগ্ম সম্পাদক শাজাহান শাওন সহ প্রায় ১৫ জন আহত হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় ৩ জনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বাকৃবি ছাত্রলীগের সভাপতি খন্দকার তায়েফুর রহমান বলেন, বহিরাগতরা ক্যাম্পাসে এসে সরকার বিরোধী উস্কানিমূলক স্লোগান দিয়ে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরির পাঁয়তারা করে। তারা ক্যাম্পাসের কেউ না। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ ঠিক রাখার জন্য আমরা সেটি অবশ্যই প্রতিহত করবো। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. আজহারুল ইসলাম বলেন, হঠাৎ বহিরাগতরা বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে মোটরসাইকেল ও প্লাকার্ড নিয়ে শোডাউন দেয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্ষিপ্ত হয়। পরে তারা তাদের বাধা প্রদান করে। এতে অস্থিতিশীল পরিবেশের সৃষ্টি হলে বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে।